‘সরকারের ইশারার বাইরে গুম-খুন হয় না’

সরকারের চক্রান্ত ও অপকর্ম মোকাবিলায় দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে গুম-খুন হচ্ছে, এ সবের সঙ্গে নাকি বিএনপি-জামায়াত জড়িত। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি বসে বসে ঘোড়ার ঘাস কাটেন? তার পুলিশ বাহিনী কি করে। এ চাপাবাজি জনগণ ভালভাবেই বোঝে- সরকারের উদ্দেশ্য কী? কোনো ঘটনা ঘটলেই সরকার পুরনো ভাঙা ক্যাসেট বাজিয়ে বলে এ সবের সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি জড়িত। ধরা পড়ার পর দেখা যায় আসলে তা নয়। এগুলো দৃশ্যমান মিথ্যা কথা। এ সব বোঝার জন্য বুদ্ধিমান লোকের প্রয়োজন হয়। সরকারের ইশারার বাইরে এ সব ঘটনা হয় বলে জনগণ মনে করে না।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া ও রোগ মুক্তি কামনা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন গয়েশ্বর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের আশু রোগ মুক্তি কামনা ও ঝিনাইদহের সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম মাস্টারের রুহের মাগফিরাত কামনায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খুলনা বিভাগীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের অপকর্মের হাত থেকে বাঁচতে হলে জনগণকে মোকাবিলা করতে হবে। সেই দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে। পদের জন্য গলা না শুকিয়ে জনগণের জন্য গলা শুকান। আন্দোলনে রাস্তায় নামুন।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বার বার সামরিক স্বৈরশাসক ও গণতন্ত্রের লেবাসধারী স্বৈরশাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তাকে আমাদের খুব দরকার। তিনি যাতে সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসেন সেই দোয়া করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক স্বৈরশাসক ও অত্যাচারী শাসকের অধীনে রাজনীতি করছি। দেশ রক্ষা ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তরিকুল ইসলামের মতো নেতার আজ বড়ই প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই