সরকারকে কর দিতে বাড়ছে গ্যাসের দাম

আবার গ্যাসের দাম বাড়ছে। গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করতে প্রস্তুতি নিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। যদিও গত আগষ্ট মাসের গণশুনানিতে বিইআরসি’র মূল্যায়ন কমিটি জানিয়েছিল, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। তারপরও নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিইআরসি’র একটি সূত্র জানায়, সব ধরণের গ্যাসের দামই নতুন করে নির্ধারণ করা হবে। শুনানীর পর্যালোচনা শেষে হিসাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। দ্রুতই নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।

বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পেট্রোবাংলা গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা এফডিআর করে রেখেছে। এই অবস্থায় আবার গ্যাসের কেনো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে; সে বিষয়ে কোনো যুক্তিও দিতে পারেনি। তবুও নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর এমন উদ্যোগ।

তবে পেট্টোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে জানিয়েছে, গ্যাস বিক্রির কর ও মূল্য সংযোজন কর-মূসক বাবদ ১৪০ কোটি টাকা প্রতি মাসে তারা সরকারকে দিচ্ছে। একই সময়ে বিদেশি গ্যাস কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে গ্যাস কেনার জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে। বর্তমানে পেট্রোবাংলাকে এ বাবদ মাসে ৭০ কোটি টাকা দিতে হয়। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন আইন অনুযায়ী সরকারকে তাদের আয়ের ৮৩ ভাগ মূসক ও শুল্ক বাবদ দিতে হবে। আর এই অর্থ যোগান দিতেই গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রয়োজন।

ওই সূত্রটি জানায়, আবাসিক গ্রাহকদের ২ চুলার জন্য ১ হাজার এবং ১ চুলার জন্য ৮০০ টাকা করা হবে। বর্তমানে আবাসিকে ২ চুলার জন্য ৬৫০ ও ১ চুলার জন্য ৬০০ টাকা দিতে হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার কারখানা, শিল্প, বাণিজ্যিক, চা-বাগানেরও গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।

গত ৭ থেকে ১৮ই আগষ্ট পর্যন্ত বিইআরসি কার্যালয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর গণশুনানী হয়। বিতরণকারী কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি মূল্যায়ন কমিটি ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করে।

সেখানে বলা হয়, বেশিরভাগ কোম্পানিই লাভ করছে বলে তাদের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। কোম্পানিগুলো গড়ে ৬৬ থেকে ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। আর তা বাস্তবায়নের অনুরোধ করেছিল ১লা জুলাই থেকে। এপ্রিল মাসে এ প্রস্তাব দেয় তারা।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় ২ চুলার দাম ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ এবং ১ চুলার দাম ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই