সম্প্রচার আইনের পরেই কমিশন গঠন : ইনু

‘সম্প্রচার আইন’ প্রণীত হওয়ার পরেই ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এ কমিশন স্যাটেলাইট টেলিভিশনে প্রচারিত বিষয়বস্তুর মানদণ্ড, বিজ্ঞাপন প্রচারের সময়কাল নির্ধারণসহ নীতিমালা ও আইন বাস্তবায়ন করবে।
মঙ্গলবার দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে সাংসদ শওকত চৌধুরীর (নীলফামারী-৪) প্রশ্নের উত্তরে সংসদকে তিনি এ তথ্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি টিভিতে বিজ্ঞাপন বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা যায় না। বিজ্ঞাপন প্রচারের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিতকল্পে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪-তে বিজ্ঞাপন নীতিমালা শিরোনামে একটি অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রচার আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে। এ আইন প্রণয়নের পরেই সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে।’
‘বিভিন্ন টিভিতে হারবাল, ইউনানিসহ বিভিন্ন জনের চটকদার ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে হাজি সেলিমের (ঢাকা-৭) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিটিভির নিজস্ব বিজ্ঞাপন নীতিমালা থাকলেও অন্যান্য চ্যানেলের জন্য অনুসরণীয় বিজ্ঞাপন নীতিমালা নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ওষুধ নীতিতে (২০০৫) ওষুধ ও স্বাস্থ্য বিষয়াবলির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের দ্বারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আছে। অবৈধ পণ্য কিংবা ওষুধ বিপণন বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার না করার জন্য বেসরকারি টিভি চ্যালেনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সম্প্রচার কমিশন গঠিত হলে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারে বিধিনিষেধ আরোপ করা সম্ভব হবে।’
এস এম জগলুল হায়দারের (সাতক্ষীরা-৪) এক প্রশ্নের উত্তরে ইনু বলেন, ‘গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের আওতায় জেলা পর্যায়ে ৬৪টি ও উপজেলা পর্যায়ে চারটি তথ্য অফিসসহ মোট ৬৮টি তথ্য অফিস আছে। তবে আপাতত উপজেলা পর্যায়ে তথ্য অফিস করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।’
‘আধুনিক মানসম্পন্ন টেলিভিশন পরিচালনার লক্ষ্যে বিটিভির কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে কি না’- ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘বিটিভির সম্প্রচার কার্যক্রমকে যুগোপযোগী ও গতিশীল করতে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রামপুরা টিভি কমপ্লেক্স ১২ তলা সদর দফতর ভবন নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন আছে। পাশাপাশি ৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম টিভি কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ (সংশোধিত) প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়াও ৯৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিটিভিকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ৯৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে মর্ডানাইজেশন, ডিজিটালাইজেশন এবং অটোমেশন অব বাংলাদেশ টিভি সেন্ট্রাল সিস্টেম শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। ৭০১ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পও গ্রহণ করা হবে।’
ফকরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে প্রকাশিত সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকাকে দৈনিক প্রচারসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে বাংলা দৈনিক পত্রিকার প্রচারসংখ্যা ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার হলে ২টি এবং ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার একই প্রচারসংখ্যায় তিনটি কার্ড প্রদান করা হয়।’
২০০১ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩৭৪টি পত্রিকা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই