সম্পর্কে ফোন নিয়ে সন্দেহ, জেনে নিন কী করবেন

সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের ওপর। যদি কোনো সন্দেহের কারণে আপনি আপনার সঙ্গীর ফোনের ওপর নজরদারি করেন, তাহলে ধরে নেওয়া যায়, আপনি পুরোপুরি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করেন না। আর বিশ্বাস না থাকলে সেই সম্পর্ক টিকবে কী করে?

আমরা যখন কাউকে সন্দেহ করি, তখন প্রথমেই তাঁর ফোনের ওপর আমাদের নজর পড়ে। আমরা মনে করি, ফোনই একমাত্র সমাধান। কিন্তু এটা কখনো চিন্তা করি না, কাজের ফোনও আসে মানুষের কাছে, বন্ধুদের ফোনও আসতে পারে। আপনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে—এর মানে এই নয় যে পৃথিবী থেকে সে আলাদা হয়ে গেছে।

তাই ফোনের ওপর নজরদারি না করে সম্পর্ককে কীভাবে মধুর করবেন, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সম্পর্কে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১. আপনার সঙ্গী কার সঙ্গে কথা বলছে, কী বলছে, কার এসএমএস আসছে—এসব খেয়াল না করে সঙ্গীকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন, সে যদি সন্দেহ করার মতো কাজ করেও থাকে, আপনার সঙ্গে ব্যস্ত থাকার কারণে সে ফোনের কথা ভুলেই যাবে।

২. যদি আপনার কাছে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ থাকে, তাহলে সঙ্গীর ওপর নজরদারি না করে সরাসরি কথা বলুন। না হলে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ারই আশঙ্কা বেশি থাকবে।

৩. যদি আপনি মনে মনে সন্দেহ পুষে রাখেন, তাহলে মনের অজান্তেই আপনার সব সিদ্ধান্তের ওপর সেই সন্দেহের প্রভাব পড়বে, যা আপনার সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

৪. আপনি যা দেখছেন, তাই যে সত্যি হবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। অনেক সময় আপনি যা দেখছেন, যা ভাবছেন, তার উল্টোটাও হতে পারে। তাই যাচাই-বাছাই না করে কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।

৫. আপনার সঙ্গী যদি সন্দেহ করার মতো কাজ করে থাকে, তাহলে আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন এমনটা হচ্ছে? আপনি নিজেই তার কারণ কি না? সম্পর্ক তো আর বললেই শেষ হয়ে যায় না। আপনারও কিছু দায়দায়িত্ব রয়েছে। শুধু সন্দেহ করে সম্পর্কে ঝামেলা করার থেকে কীভাবে সম্পর্কে প্রাণ ফিরিয়ে আনবেন, সেদিকে খেয়াল করুন।

৬. ফোন থাকলে ফোন আসবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গেই যদি সঙ্গীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাহলে একটা সময়ে সেও বিরক্ত হয়ে যাবে। আর তেমন কোনো ঘটনা সত্যি সত্যি না হলেও ঠিক সে রাগবশত এমন ঘটনায় জড়িয়ে পড়বে। তাই সাবধান, আপনার আচরণ সংযত রাখার চেষ্টা করুন।

৭. সব সময় মনে রাখবেন, জোর করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। তাই যদি আপনার সঙ্গীর আচরণে সন্দেহের কোনো কারণ থাকে আর কোনোভাবেই যদি আগের মতো সম্পর্ক না হয়, তাহলে সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্কে ইতি টানাই বুদ্ধিমানের কাজ।



মন্তব্য চালু নেই