মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

সমুদ্র এলাকার সম্পদ আহরণে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ

বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকা থেকে সম্পদ আহরণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুঁইঞা ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণী সালিশি ট্রাইব্যুনালের রায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ এটি গ্যাজেট আকারে প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা রায়ের বিষয় নিয়ে খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিফিং করবেন। ব্রিফিংয়ে সমুদ্র বিজয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

বৈঠকে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণী সালিশি ট্রাইব্যুনালে রায় সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সচিব জানান, এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন বলতে একটি দেশের পানি ও সমুদ্রতলদেশের ওপর কর্তৃত্বকে বোঝানো হয়। মহীসোপান বলতে বোঝায় পানির ওপর দেশটির কর্তৃত্ব থাকে না। কিন্তু তলদেশের ওপর কর্তৃত্ব থাকে।

তিনি বলেন, ‘ইকুইটি প্রিন্সিপ্যালের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল কাজ করেছে বলে আমরা সমুদ্রসীমার ন্যায্য অধিকার পেয়েছি।’

সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ে বোর্ড (রহিতকরণ) আইন ২০১৪ এর খসড়া ভ্যাটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এ আইনে রেলওয়ে বোর্ডকে বিলুপ্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আইনটি প্রণয়নের ফলে বর্তমানে যে কাঠামোতে রেলওয়ে পরিচালিত হচ্ছে সে আইনি কাঠামো আরও সুদৃঢ় হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতের রায়ে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পেয়েছে ।

এর মধ্য দিয়ে নিজস্ব সমুদ্রসীমার বাইরে মহীসোপানে এক বিরাট এলাকার ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

গত ৮ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে রায় প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে ৭ জুলাই রায়ের কপি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই রায়ের ফলে এই এলাকায় মৎস আহরণ ও সমুদ্রের তলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।



মন্তব্য চালু নেই