সমাপনীতে বসেছে ৩১ লাখ শিক্ষার্থী

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আজ রবিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৬৫ জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ ও ইবতেদায়িতে তিন লাখ পাঁচ হাজার ৭২১ জন।

পরীক্ষা শুরুর দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিরপুরের মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে।

এবার পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা দুই লাখ ১৫ হাজার ২১১ জন বেশি। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ছাত্র ১২ লাখ ৮২ হাজার ৭৯ জন, ছাত্রী ১৫ লাখ ছয় হাজার ৪৬৫ জন।

ইবতেদায়িতে ছাত্র এক লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৮ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৪৮ হাজার ২৭৩ জন।

সারাদেশে মোট ছয় হাজার ৭৯১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বাইরে ১১টি কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সামগ্রিক কার্যক্রম দেখার জন্য মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর ৯৫১৫৯৭৭ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর ৫৫০৭৪৯৩৯। সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে।

পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি

প্রাথমিক সমাপনীতে ২৩ নভেম্বর ইংরেজি, ২৪ নভেম্বর বাংলা, ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২৬ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৭ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ও ৩০ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ইবতেদায়ি সমাপনীতে ২৩ নভেম্বর ইংরেজি, ২৪ নভেম্বর বাংলা, ২৫ নভেম্বর পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান, ২৬ নভেম্বর আরবি, ২৭ নভেম্বর কুরআন ও তাজবিদ এবং আকাইদ ও ফিকহ্, ৩০ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে আর ইবতেদায়িতে ২০১০ সাল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে এই পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।

গত বছর ২০ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশেষ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণ কাজ শেষ করা হয়েছে। ৬৪টি জেলা ৮টি গ্রুপে বিভক্ত করে প্রশ্নপত্র বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তার সঙ্গে জেলা/উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই