সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আর নেই

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসন থেকে পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (১০ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার (১১ মে) সকালে তার ব্যক্তিগত সহকারি আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক মাস আগেই তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ক’দিন আগে তার ফুসফুসে অস্ত্রোপচারও হয়।

এই প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত গারো পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা স্বর্গীয় মেঘা তজু এবং মা স্বর্গীয়া হৃদয় শিসিলিয়া মানকিন। তিনি আট ভাই-বোনের মধ্যে পঞ্চম।

তিনি ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে তার সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। বর্তমানে তিনি হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

একজন সংগঠক হিসাবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভারতের মেঘালয় শিববাড়ি উদ্বাস্তু শিবিরে পরম আন্তরিকতার সাথে ৫০,০০০ শরণার্থীর দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৬৪ সালের ২৯ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিশিষ্ট গারো নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জোয়াকিম আশাক্রা এর জ্যৈষ্ঠ কন্যা মমতা আরেং এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি পাঁচ কন্যা ও এক পুত্রের জনক।

প্রমোদ মানকিন ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮, এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ এর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তারপর ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ সাল থেকে বর্তমান সরকারের মেয়াদেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই