সব সিম নিবন্ধন সম্ভব হবে কি ?

দেশের সকল মোবাইলের সিম নিবন্ধনের বিষয়ে পদক্ষেক নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। এমনকি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আগামী ৩০এপ্রিলের মধ্যে সকল মোবাইল ব্যবহারকারীদের তাদের নিজ নিজ মোবাইলের সিম রি-রেজিষ্টেশন করতে হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তারানা হালিম কর্তৃক এই ঘোষণা প্রকাশ পায়।

গত ১৬ ডিসেম্বর কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে গত ২৪ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত সফলভাবে সকল অপরেটরের সিম নিবন্ধিত হয়েছে মোট ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার। যা মোট ব্যবহৃত সিমের ৪৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। বর্তমানে দেশে চালু থাকা মোট সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ।

৩০ এপ্রিলের মধ্যে সিম নিবন্ধনের শেষ দিন হওয়ার পরও গ্রাহকদের মাঝে তেমন কোন প্রভাব পড়ছে না। এদিকে সিম নিবন্ধন আরো সহজ করতে রাজধানী সহ সারা দেশে লোকাল পর্যায়ে চলছে রেজিষ্টেশন।

কিন্তু হাতে আছে আর মাত্র ৬ দিন। এই ৬ দিনের মধ্যে সকল কোম্পানির ৬ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার বা ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ সিম নিবন্ধন করতে হবে। সে হিসেবে এই ছয়দিনের প্রতিদিন কোটির বেশি সিম নিবন্ধিত হতে হবে বলে আশংকা করছেন অনেক কোম্পানির এজেন্টরা।

এদিকে ৩০ এপ্রিলের পর একদিনও সময় বৃদ্ধি করা হবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলের সিম-রিম রেজিস্ট্রেশন চালু হওয়ার পর এই কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর তা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ১০ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে তারানা হালিম বলেন, জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি এবং যারা অবৈধ ভিওআইপি করে তারা এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছেন।

এছাড়া সার্ভারে ত্রুটির কারণে ৩ লাখ ৯০ হাজার ও অন্যান্য কারণে আরো ৪ লাখ ৩০ হাজার সিমের নিবন্ধন সফল হয়নি। সব মিলিয়ে আঙুলের ছাপ ও তথ্য না মেলায় নিবন্ধিত হয়নি ১ কোটি সিম।

নিবন্ধন সফল না হওয়া সিমের বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পাশাপাশি অন্যান্য বৈধ পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই