সব চেষ্টা ব্যর্থ, হজে যেতে পারছেন না ইরানিরা

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল এবার ইরানিরা হজ করার জন্য সৌদি আরবে যেতে জটিলতা হবে। সেটাই সত্য হলো। অবশেষে চূড়ান্তভাবেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার ইরানি কোনো হাজি সরাসরি ইরান থেকে হজে যেতে পারবেন না। তবে অন্য দেশ থেকে ইরানি নাগরিকরা হজের সুযোগ পাবেন।

ইরানের সংস্কৃতিমন্ত্রী আলি জান্নাতি রবিবার সৌদি আরবের সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতাকে এরজন্য দায়ী করেছেন। তার বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হজ নিয়ে পরপর দুটি বৈঠক ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়। সৌদি আরবের বাধার কারণে চলতি বছর ইরানি হাজিরা হজে যেতে পারছেন না।

চলতি বছর সেপ্টেম্বরে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার ইরানি প্রতিনিধিদল সৌদিতে তাদের সফর শেষ করে। কিন্তু এ সফরকালে হজের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

সৌদি’র হজ মন্ত্রণালয় বলছে, দুদিনের বৈঠকে তারা অনেকগুলো প্রস্তাব রেখেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

চলতি বছর জানুয়ারিতে সৌদি আরব বিখ্যাত এক শিয়া ধর্মীয় নেতার ফাঁসি দেয়ার পর ইরানিরা তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর রিয়াদ ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এছাড়া আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিয়াপন্থী ইরানের সঙ্গে সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরবের বিরোধ রয়েছে। গত বছর হজ চলাকালে মিনায় পদদলিত হয়ে দুই হাজারের বেশি লোক মারা যান। এর মধ্যে ইরানি হাজির সংখ্যাই বেশি। মুসলিম বিশ্বের অন্য কোনো দেশ এ ব্যাপারে সৌদি আরবকে সরাসরি দোষারোপ না করলেও ইরান এই ঘটনায় সৌদি আরবকে দায়ী করে। এ নিয়ে চির শত্রু ভাবাপন্ন দুটি মুসলিম দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। গত জানুয়ারি থেকে তা চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই