সবুজে ভরে উঠেছে বোরো ক্ষেত

রাজশাহী ব্যুরো প্রধান: রাজশাহীর মোহনপুরে সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বোরো ফসলের মাঠ। মন মাতিয়েছে ক্লান্ত কৃষকের। আগাম জাতের ধানের প্রথম দফার নিড়ানির কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে শুধু দ্বিতীয় দফার নিড়ানি, সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কাজ। বিদ্যুত সরবরাহ ও পানিস্তর ভালো থাকায় শঙ্কামুক্ত কৃষকরা।

পুকুর খনন, জলাবদ্ধতাসহ নানাবিধ সমস্যার মাঝেও প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোচাষ হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।

সরোজমিনে দেখা গেছে, কৃষিপ্রধান মোহনপুর উপজেলার প্রায় সবত্রই বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার উল্লেখযোগ্য মগরা, শুককি, মালয় ও পশ্চিমবিলসহ সব স্থানেই হয়েছে জিরা, আটাশসহ অধিক ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান।

কয়ের বছর আগে এখানকার ভূগর্ভস্ত পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় অনেক জমির বোরোচাষ। লোকসান কাটিয়ে উঠতে অনেক কৃষকরা ওইসব জমিতে সমবায় ভিত্তিত্বে মাছচাষের জন্য পুকুর খনন করতে থাকে।

বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের যুগপোযোগি পদক্ষেপের কারণে আধুনিক যন্ত্রের সরবরাহ, চাহিদানুযায়ি বিদ্যুত সরবরাহের জন্য চলতি বছর প্রায় আগের সমপরিমাণ জমিতে বোরোচাষ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। শ্রমিক সঙ্কট কাটিয়ে আনতে এবার অনেক স্থানে রাইস প্লান্টারের সাহায্যে বোরোচাষ কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।

অনূকুল আবহার কারণে চলতি মৌসুমে ধান ভাল হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। রোগবালায় ও পোকামাকড় হতে ফসলরোধে মাঠে মাঠে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়ে আসছেন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা।

মগরা বিলে বোরো চাষি হরিদাগাছি গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছর প্রায় ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। সব জমির ফসলের পরিচর্যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিদ্যুত ব্যবস্থা অনেক ভালো। রোগবালায় দেখা যায় নি তবে কৃষি অফিসাররা নিয়মিত জমি ঘুরে দেখছেন।

তেঘর মাড়িয়া গ্রামের কৃষক নিরঞ্জন কুমার বলেন, বোরো ধানের পরিচর্যার কাজ প্রায় শেষ দিকে। এখন সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগ জরুরি। মাঠে ধানের অবস্থা ভালো আছে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা না আসলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, কৃষি অধ্যুশিত মোহনপুর উপজেলার কম বেশি সব স্থানেই বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে।

অনুকূল আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুত সরবরাহ, চাহিদানুযায়ি কৃষি উপকরণ সরবরাহ, রাইসপ্লানটারের সাহায্যে বোরো রোপনের কারণে অধিক আগ্রহের সঙ্গে কৃষকরা বোরোচাষ করেছেন। এছাড়া প্রতি মাঠে কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়ে আসছেন আমাদের অফিসাররা। এখন পর্যন্ত ফসলের অবস্থা ভালো আছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা না হলে ভাল ফলন হবে বলে আশা করা যায়।



মন্তব্য চালু নেই