সবুজের মাঝে আকাশ্চুম্বী “শহীদ মিনার”

সাফাত জামিল শুভ, চবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম অাকর্ষণ থাকে শহীদ মিনার।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ মিনার গুলো নিজ নিজ শৈল্পিক ডিজাইন ও হাজারো স্মৃতির সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্বগৌরবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সবুজে ঘেরা কাঁটা পাহাড়ের পিচঢালা পথ পেরিয়ে সামনে এগুলেই চোখে পড়বে নান্দনিক গঠনশৈলীর আকাশ্চুম্বী শহীদ মিনার। অন্যতম আকর্ষনীয় এই স্থাপনাটি যেন চবি ক্যাম্পাসের প্রাণ।

12746153_975533842494792_631527529_n

এ শহীদ মিনারের স্থপতি খ্যাতিমান শিল্পী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রফেসর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেদ। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার’ স্থপতি হিসেবে দেশ-বিদেশে বহুল পরিচিত।চবির প্রথম শহীদ মিনারটি ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলে পরবর্তীতে একই স্থানে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়।

সকালের শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌছলেই ত্রিকোণ এ মিনারকে ঘিরে বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের পদচারণা।দুপুরের তপ্ত রোদে মিনারটির সু-উচ্চে থাকা বিশেষভাবে স্থাপিত ‘আনারস’টি ঝকমক করতে থাকে।

শহীদ মিনারের সিঁড়িতে না বসলে যেনো বিকাল বেলার গান-আড্ডাই জমে ওঠে না। বিকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত শহীদ মিনারকে ঘিরে চলে হৈ-হুল্লোর।দিনে একরূপ আবার রাতে আরেকরূপে প্রকাশিত হয় এর সৌন্দর্য।

উল্লেখ্য চবির দৃষ্টিনন্দন এ শহীদ মিনারটির চতুর্দিক লোহার গ্রিল দ্বারা বেষ্টিত,আর ভেতরে প্রবেশের জন্যে রয়েছে তিনটি পথ। গ্রিলের বেষ্টনীর বাইরের দিকে ধাপে ধাপে রয়েছে বেশ কয়েকটি সিঁড়ি যেখানে বসে চলে বিকালের আড্ডা।

প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই মিনারটি সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।বিভিন্ন সংগঠন আয়োজন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।শিক্ষার্থীরা রাত জেগে আল্পনা এঁকে আর ফুল দিয়ে সাজায় শহীদ মিনারকে।



মন্তব্য চালু নেই