সবার অসুবিধা হচ্ছে মানে ইসি নিউট্রাল

নির্বাচন কমিশনের অবস্থান নিয়ে প্রধান তিন দলের সমালোচনায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নিরপেক্ষতা আরো স্পষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেছেন, ‘নিরপেক্ষতার প্রশ্নের মধ্যে আমাদের নিরপেক্ষতা (প্রমাণ) হবে। সব দলের যদি কিছু না কিছু অসুবিধা হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি। আমাদের অবস্থান নিউট্রাল। নিউট্রাল দিকটা আরো স্পষ্ট করে দিচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।

পৌর ভোটের প্রচারণার মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও দশম সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি’র কঠোর সমালোচনার মুখে এ কথা বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

দুপুরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি’র প্রতি সদয় হয়ে সরকারি দলের প্রতি নির্বাচন কমিশন নির্দয় আচরণ করছে বলে অভিযোগ করে। সেই সঙ্গে বিএনপিকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।

বিকেলে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি এসে অভিযোগ করে, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। ক্ষমতাসীনদের দ্বারা তারা আক্রান্ত হচ্ছেন।

এভাবে সব দল ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে- এই প্রসঙ্গে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি। সবার কিছু যখন অসুবিধা হচ্ছে, বুঝতেই হবে সবার প্রতি আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি। আমাদের নিউট্রাল অবস্থা আরো স্পষ্ট হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কারো চেহেরা দেখে বা কারো প্রতি সদয় বা কারো প্রতি নির্দয়ের প্রশ্ন আসছে না। সবাইকে সাংবিধানিক অধিকার দেয়ার চেষ্টা করছি।‘ ইতোমধ্যে অনিয়মের বিষয়ে জরিমানা, শোকজ, কর্মকর্তাদের বদলিসহ ইসির নেয়া ব্যবস্থাও তুলে ধরেন তিনি।

বিধিলঙ্ঘনকারী এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে আমার সবারই বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে এমপিদের শোকজ করেছি। তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া থানার ওসি ও নিজেদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা সবদিক থেকে আইনটা প্রয়োগ করছি।’

বিধি লঙ্ঘনকারী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে চাওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো চিঠি আমরা পাইনি।’

ভোটে হানাহানি ও সংঘাতের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদিও দুর্ভাগ্যবশত এটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যতদিন যাবে পলিটিক্যাল কালচার ইমপ্রুভ করবে। এদিন এমন দিন আসবে সেন্টারে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের টহলের প্রয়োজন হবে না।’

ডেমোক্রেসি ওয়াচ ও অধিকারসহ ১০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে আওয়ামী লীগের আপত্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি রকিব উদ্দিন বলেন, ‘এটা কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই