আজ শের-ই বাংলার ৫৩তম মৃত্যু বার্ষিকী

সংস্কার হয়নি শের-ই বাংলার জন্মস্থান, নেই কোনই স্মৃতি !

অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলার বাঘ খ্যাত শের-ই বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার মিয়া বাড়িতে মাতুলালয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালের এই দিনে তিনি ৮৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন। তাঁর বাবা বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ও মাতা সৈয়দুন্নেছা। শের-ই বাংলার জন্মস্থান রাজাপুরের সাতুরিয়ায় তারঁ বহু জন্মস্মৃতি থাকলেও তা এখন বিলুপ্ত প্রায়। আজ পর্যন্ত এখানে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। অযতœ অবহেলায় পড়ে থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে শের-ই বাংলার জন্মস্মৃতি।

শের-ই বাংলার শৈশবের বেশির ভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন তাঁর এই মামার বাড়িতে। তাঁর জন্মস্থান সাতুরিয়ায় মিয়া বাড়ির সেই আঁতুরঘর ও দালান এখন সংস্কারবিহীন জড়াজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁর জন্ম নেওয়া সেই বাড়িটিতে এখন তার এক দূ:সম্পর্কের আত্মীয় বসবাস করছেন। মাত্র কয়েক বছর আগেও শের-ই বাংলার ব্যবহৃত নানা আসবাবপত্র সেখানে দেখা গেলেও এখন আর কোন অস্বিত্ব নেই সেগুলোর। শের-ই বাংলার প্রতিষ্ঠিত সাতুরিয়া এমএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে সেখানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও তার ভবনসহ শিক্ষা ব্যবস্থা নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটকরা এখানে এসে কোন স্মৃতি না দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, এই রকম এক মহান নেতার জন্মস্থান নানা কারনে অবহেলিত হয়ে আছে। তাঁর জন্মভবনটি সংস্কার করে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করা অতি প্রয়োজন। এখানে স্থানীয়দের শের-ই বাংলা স্মৃতি জাদঘরের দাবী দীর্ঘদিনের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সাদিকুর রহমান বলেন, তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে ভবনটি সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন মহলে কয়েকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সেখানে শের-ই বাংলার নামে একটি গ্রন্থাগার নির্মানের ব্যাপারে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ভবন সংস্কারে সরকারের পক্ষ থেকে শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই