সংসারে হয়ে উঠুন সুখী পুরুষ

সংসারের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব থাকে পুরুষের কাঁধে। এই দায়িত্ব মানসিক চাপ বাড়ায় অনেক বেশি। তবে যত চাপেই থাকুন না কেন, একটু সুখের খোঁজে বারবারই মন ব্যাকুল হয়ে ফেরে। এদিকে সুখের খোঁজে অনেক পুরুষ ছোটেন অর্থকড়ির পেছনে, যা আপনাকে আরও বেশি অসুখী করে তোলে। তাই নিজেকে সুখী করতে দরকার সব কিছুর ভারসাম্য। আর তাই…

বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন

জীবনের বড় একটা অংশ জুড়ে থাকে বন্ধু-বান্ধব। অনেক সময় অনেক ধরণের সাহায্য পাওয়া যায় বন্ধুদের কাছ থেকে। কিন্তু বন্ধু নির্বাচনে ভুল করলেন, তো দুঃখকে আমন্ত্রণ জানালেন। আপনার সুসময়ে তাদের পাল্লা এতো ভারি হবে যে কোনোদিকে ফিরে তাকানোর সুযোগ থাকবে না। বিপদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখবেন তারা সবাই দূরে সরে গেছে। তখন একাকী অথই সাগরে ভাসবেন। তাই সুখী থাকতে ভালো বন্ধু নির্বাচন করুন, বিপদে পাশে পাবেন।

শরীরের প্রতি যত্ন নিন

পুরুষেরা নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে একেবারে উদাসীন। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ধূমপান ও মদ্পানের অভ্যাসও থাকে অনেকের। এই সব জিনিস স্বাস্থের পাশাপাশি মনের ওপরেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। মন থেকে দূর হয়ে যায় সুখ। তাই নিজের শরীরের প্রতি আগেই যত্নশীল হোন।

সঙ্গিনীকে প্রাধান্য দিনসুখী পুরুষ

পুরুষের বিরুদ্ধে সঙ্গিনীর অনেক অভিযোগ থাকে প্রাধান্য দেয়া নিয়ে। অপরদিকে অনেক পুরুষ সঙ্গিনীকে নিজের অশান্তির কারণ বলে ধরে নেন। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো, আপনার আসলে কী চাইছেন? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আপনার অবহেলা তার অস্থিরতার কারণ। তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে জীবনসঙ্গিনীকে তার প্রাপ্য সময় দিয়ে দেখুন, এসব অশান্তি দূর হয়ে যাবে।

মনে ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন

কষ্ট পেলে কিম্বা কারো কাছে প্রতারিত হলে মনের ক্ষোভ পুষে রাখবেন না। জমানো ক্ষোভ আপনাকে প্রতিশোধ নিতে অস্থির করে তুলবে। কারণ অনেকদিনের পুষে রাখা আবেগ যখন বের হয়, তখন তা হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটায়। তাই সুখী থাকতে চাইলে বেশিদিন মনে ক্ষোভ পুষে না রেখে সমঝোতায় আসুন।



মন্তব্য চালু নেই