‘সংসদে নারীরা অপমানিত হচ্ছে’

বতর্মান অগণতান্ত্রিক ও অনির্বাচিত সরকারের আমলে নারীরা প্রতিনিয়ত নিযার্তিত ও অত্যাচারিত হচ্ছেন। জাতীয় সংসদে নারীরা অপমানিত হচ্ছেন।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে লেক সোর হোটেলে ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘স্বঘোষিত বিরোধী দল, তাদের নেতা। যার বউ হয়েছেন লিডার অব দ্যা অপজিশন। বিনা নিবার্চনে লিডার অব দ্য হাউজ কিংবা বিরোধী দলীয় নেতা দু’জনই নারী। সেই সংসদে যদি বলা হয়, নারী সব সো-পিছ। যেখানে জনসংখ্যার ৫০ ভাগ নারী আছেন। যে সংসদে আমাদের মা-বোনদের এভাবে অসম্মান করা হয়। যে লোক নারীদের সম্মান দিতে জানে না, তাদের নিয়ে যারা দল করে, তারা কোনো দিনও মানুষকে সম্মান দিতে পারবে না। গণতন্ত্রও আনতে পারবে না। তারা কোনোদিন গণতন্ত্র আনেনি বরং হরণ করেছে।’

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘সত্যিকারভাবে সকলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নিবার্চন হতে হবে। সেখানে যারাই জিতবে, তারাই সরকার গঠন করবে। এখানে বিভেদ-বিভাজন নয়, সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করলেই আমরা দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবো। তখনই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি আমরা সম্মান দেখাতে পারবো, মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আজ সুষ্ঠু নিবার্চন প্রয়োজন। আমরা বলি না, মারামারি, খুনাখুনি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ক্ষমতায় যাবো, জিতবো। আমরা অমুক হবো, তমুক হবো। সেটা নয়।’

বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেন, ‘ক্ষুদ্র-তুচ্ছ, ভুল-ভ্রান্তি ও ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, শ্রদ্ধা করে কেউ কখনো ছোট হয় না। আর হিংসা করে কেউ কখনো বড় হয় না। প্রেসিডেন্ট জিয়া বলতেন রাজনীতি করতে হলে হৃদয়টাকে বড় করতে হবে। তার এই বক্তব্য হউক রাজনীতির সংকট থেকে উত্তরণে মহামন্ত্র। আসুন আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। এই রোজায় একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও জনগনের মুক্তির পথে আহ্বান করি।’

বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার দেশ গঠনে যুগান্তকারী কর্মযজ্ঞের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারা‘র সভাপতি সাবকে রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছাড়াও জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আ.স.ম আবদুর রব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিকল্পধারা‘র মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী। মুসলিম লীগের নুরুল হক মজুমদার, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামিদুল্লাহ আল মেহেদি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি ফয়েজুল্লাহ, কল্যাণ পার্টির এমএম আমিনুর রহমান প্রমুখ।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে নরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, এবিএম আশরাফউদ্দিন নিজান, শিরিন সুলতানা, রাবেয়া সিরাজ, শামা ওবায়েদ, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ইফতারে অংশ নেন।

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহ ব্যারিস্টার রুহিন ফারহানা ছাড়াও একজন বৃটিশ কুটনীতিকও ছিলেন ইফতারে।



মন্তব্য চালু নেই