সংলাপ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য রসিকতা : জামায়াতে ইসলামী

সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সংলাপ নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের বক্তব্যকে দেশের ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে নির্মম রসিকতা বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট জাতিসংঘের মহাসচিব মি. বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সরকারের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে বিরোধীদলের সঙ্গে সংলাপ করার যে কথা বলেছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্য অন্যায়, অযৌক্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। তার এ বক্তব্যে দেশি-বিদেশি সর্ব মহল বিস্মিত হয়েছে। তার এ বক্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নির্বাচনে শতকরা ৫ ভাগ ভোটারও কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি। ভোটারবিহীন ও বিরোধীদলের অংশগ্রহণ বিহীন এ নির্বাচনে সরকার রাষ্ট্র শক্তিকে অপব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তাই এ সরকারকে কেউ বৈধ সরকার মনে করে না। তাই সব দলের অংশগ্রহণে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অবিলম্বে বিরোধীদলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করার জন্য দেশি-বিদেশি মহল সরকারকে তাগিদ দিচ্ছে। এ তাগিদকে অগ্রাহ্য করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে নির্মম রসিকতা ছাড়া আর কিছুই না।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে দলীয় নেতার মত যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিরাজমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’



মন্তব্য চালু নেই