সংলাপের বিকল্প নেই : ন্যাপ

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। সংকট নিরসনে শক্তিপ্রয়োগের সরকারি সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তুলেছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া স্বাক্ষারিত বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।

গণমাধ্যমে শুক্রবার দেওয়া ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের দম্ভ ও ঔদ্ধত্য চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তুলছে। ফলে জনগণের বহু কষ্টার্জিত গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে দেশবাসী উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ছে। সরকার রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা না করে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে যেয়ে বন্ধুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সরকার ভুলে গেছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও একটা মনবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড। ক্ষমতা কখনো কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়। সেহেতু মনে রাখা উচিত, এ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য এক দিন তাদেরও বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। অবিলম্বে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল আমান চৌধুরী প্রেরিত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, সরকার যতই বলপ্রয়োগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুক না কেন তাতে কোন লাভ হবে না। সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা যতই সংলাপের বিরোধিতা করুক না কেন সংলাপে তাদের আসতেই হবে। এভাবে একটা রাষ্ট্র চলতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশে গণবিদ্রোহ দেখা দিতে পারে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ব্যহত হতে পারে। তখন গণতন্ত্রের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কাজ হবে না। তাই সময় থাকতে গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারের উচিত অবিলম্বে দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে কার্যকর সংলাপ আয়োজন করা।



মন্তব্য চালু নেই