সংবাদটি পড়লে আপনিও মাথা চুলকাবেন!

জীবনে কখনো ট্রেনের পেছন পেছন দৌড়েছেন? অথবা কোনো বাস কিংবা গাড়ির পিছনে? কিংবা এমন কখনো হয়েছে যে, সবার সঙ্গে আপনি ঘুরতে বেরিয়েছেন। আর মাঝ রাস্তায় আপনার গাড়ি আপনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে! আর তারপর আপনি সেই গাড়ি ধরার জন্য ছুটেছেন? আপনি জীবনে এগুলো করুন অথবা না করুন, গতকাল এ পৃথিবীর একটি মানুষ এমন কাজ করেছেন, যা খুব কম লোকই করেন!

৬৫ বছরের সুশান ব্রাউন। বাড়ি ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে। তিনি আর তার স্বামী ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। সফর ছিল মোট ৩২ দিনের। তার ২৮ দিন হয়েও গিয়েছিল। তখন স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে ঠিক করেন যে, আর

জাহাজে ভালো লাগছে না। তাই তারা বিমানে ব্রিস্টল চলে যাবেন। সেই অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী তাদের বিলাসবহুল মার্কোপোলো ক্রুজ জাহাজ ছেড়ে ম্যাডেইরা দ্বীপের বিমানবন্দের আসেন। সেখানে সুশানের সঙ্গে তার স্বামীর তর্কাতর্কি হয়। স্বামী চলে আসেন জাহাজে।

সুশানের আসেত দেরি হয় একটু। তিনি যখন জাহাজ ধরতে বন্দরে আসেন, ততক্ষণে তার জাহাজ বন্দর ছেড়ে চলে গিয়েছে, খুব দূরে বিন্দুর মতো দেখা যাচ্ছে! মুহূর্তের মধ্যে ৬৫ বছরের সুশান দিলেন এক লাফ। পড়লেন ১৬০০ ফুট নিচের আটলান্টিকের গভীর জলে। যা কনকনে ঠাণ্ডা। মানুষকে মেরে ফেলার জন্য কিছু মিনিটই যথেষ্ঠ। হাতে ব্যাগ নিয়ে ওই সাধারণ পোশাকেই জাহাজ ধরার লক্ষ্য নিয়ে আটলান্টিকে সাঁতরাতে থাকেন ৬৫ বছরের সুশান। চলেও যান সমুদ্রের ভিতরে ৩ মাইল!

কিন্তু ততক্ষণে তার শরীরের শক্তি শেষ। প্রায় অচৈতন্য হয়ে সাঁতার কাটছেন আর হেল্প হেল্প বলে মাঝ সমুদ্রে চিত্‍কার করছেন। এক জেলে তখন পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেই চিত্‍কার শুনতে পান। কাছে গিয়ে সুশানকে উদ্ধার করেন। এবং ডাঙায় নিয়ে আসেন। ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী আর ৩০ মিনিট জলে থাকলেই হয়তো মারা যেতেন সুশান। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন। কিন্তু এমন কাণ্ডটা তিনি করলেন কীভাবে! এটা ভেবেই মাথা চুলকাচ্ছেন সবাই। কিন্তু আপনি?-জিনিউজ



মন্তব্য চালু নেই