‘সংখ্যালঘু নির্যাতনে আ’লীগ জড়িত’

সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নেতা-কর্মীরা জড়িত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনের হিসাব অনুয়ায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে দেশে ৭৩২টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

গত তিন মাসে ১০ জন সংখ্যালঘু নিহত এবং ৩৬৬ জন আহত হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ১০ জন, যাদের মধ্যে ২ জনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ জন সংখ্যালঘু নারী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমিজমা, ঘরবাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, দখল ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে ৬৫৫টি। ২২টি পরিবারকে জোড়পূর্বক উচ্ছেদ ও দেশ ত্যাগের হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলো জানিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রে দল-মত নির্বিশেষে সবার মধ্যে আঁতাত লক্ষ্য করা যায়। এসব ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের কোনো অভিযোগ গ্রহণ না করে উল্টো তাদেরই হয়রানি করে।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো- যেসব জেলায় সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লংঘনের হচ্ছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্বায় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া; প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা; সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন প্রণয়ন করা; নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনাগুলো দ্রুতবিচার আইনের আওতায় আনা এবং নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্ত্বায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সম্মেলনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি জয়ন্তী রায় প্রমুখ সংবাদ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই