শ্যালা নদীতে জাতিসংঘ দল

ট্যাংকার ডুবিতে তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় ও তথ্য সংগ্রহ করতে শ্যালা নদীতে পৌঁছেছেন ২৬ সদস্যের জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল।

সোমাবার বিকেলে তারা মংলায় পৌঁছান। পরে বনবিভাগের রেস্ট হাউজের জেটি থেকে অরণ্য নামক লঞ্চে করে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে যান।

জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) সদস্য এমিলিয়া ওয়ালস্ট্রমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তেল নিঃসরণ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা। এ ছাড়া ঢাকা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও এ দলে যোগ দিয়েছেন।

সন্ধ্যায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বৈঠকে বসবেন। এসময় তারা কাজের পরিকল্পনা করবেন। বিশেষজ্ঞ এ দলটি প্রাথমিকভাবে পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে গবেষণা করে সরকারকে এ ব্যাপারে করণীয় কিছু সুপারিশ করবে।

এর আগে সকাল ৭টায় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদলটি মংলার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। বিকেলে তারা মংলায় পৌঁছান।

সূত্রমতে, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালের পানি, মাটি ও গাছ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে তারা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবেন। প্রতিদিনের কাজের রিপোর্ট তারা কান্ট্রি অফিসে পাঠাবেন। সেখান থেকে গণমাধ্যমে তথ্য পাঠানো হবে।

গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কাছে শ্যালা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় তেলবাহী ট্যাংকার ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ ডুবে যায়। ট্যাংকারটিতে এসময় সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল ছিল।

ডুবে যাওয়ার পর সুন্দরবনের পূর্বাংশের ৩৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তেল ছড়িয়ে পড়ে। তেলের প্রভাবে ইরাবতি ডলফিন, ভোঁদর, কুমির, গুঁইসাপ, সাপ, নানা প্রজাতির মাছসহ বিভিন্ন প্রাণী ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ১৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চেয়ে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় ৬ দিন অবস্থান করবে।

এ সময় তারা তেলের প্রভাবে সুন্দরবনের কী ধরনের ক্ষতি হলো, তা মোকাবিলায় কী করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করবে।



মন্তব্য চালু নেই