শোক জানিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত শনাক্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুজে বের করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

শনিবার সন্ধ্যায় এমপি লিটনের গ্রামের বাড়িতে ঢুকে গুলি করেন তিন দুর্বৃত্ত। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে এমপির ভগ্নিপতী মো. বাদল বলেন, তিনজন মুখোশধারী জানালা দিয়ে এমপি লিটনকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় এমপি গুলি থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার হাতে, ডান বুক ও বাম বুকে পাঁচটি গুলি লাগে।

এমপির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। রোববার সকালে এমপির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায়।

এমপির লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী খুরশিদ জাহান ও পরিবারের সদস্যরা। এমপি নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দলের নেতাকর্মীরা। তারা খুনিদের শনাক্ত ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

গত বছরের ২ অক্টোবর এমপি লিটনের বন্দুক থেকে ছোড়া গুলিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গোপালচরণ গ্রামের শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভ গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন ওই এমপি। পরদিন লিটনকে একমাত্র আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন সৌরভের বাবা সাজু মিয়া।

ওই মামলায় গত বছরের ১৪ অক্টোবর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন গাইবান্ধার আদালতে হাজির করা হলে মুখ্য বিচারিক হাকিম তাকে কারাগারে পাঠান। পরে গত ৮ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান এই সংসদ সদস্য। চলতি বছরের ১ এপ্রিল এ মামলায় লিটনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই