শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ‘ঐক্যে’ আসতে হবে বিএনপিকে

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মেনে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে বিএনপিকে ‘জঙ্গিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যে’ আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে “সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠন” উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

কামরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সকল দল বঙ্গবন্ধুকে নেতা মেনে নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। আর বর্তমান জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমাদের নেতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশ মেনে নিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূলে সকল দলকে ঐক্যের পথে আসতে হবে। বিএনপি যদি ঐক্যে আসে, যদি জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মসূচি পালন করতে চায়, অবশ্যই শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মেনে আসতে হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে- বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়বে ছাড়বে ভাব। হয়ত বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়বে। বিএনপির অভ্যন্তর থেকেও এ দাবি উঠে এসেছে। হয়ত দেখবেন দুই চার সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। শুধু জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করলে হবে না, আপনাদের (বিএনপি) অতীতের সন্ত্রাসী ইতিহাস ত্যাগও করতে হবে। বিএনপিকে বলব, জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ুন, আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাবো। জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলনে স্বাগত জানাব। জঙ্গিবাদ ইস্যুতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।’

গুলশান হামলার ঘটনা জঙ্গিবাদের নতুন মাত্রা উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এতোদিন আমরা দেখেছি ইমামবারায় হামলা, পুরোহিত-খাদেম হত্যার মত বিক্ষিপ্ত হমলার ঘটনা। কিন্তু গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আমরা বার বার বলেছি, এখনও বলছি- হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি, জামায়াতরাই বাংলাদেশে এসব তৎপরতা চালাচ্ছে। বিশেষ স্বার্থে সরকারকে নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা এইসব জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। শেখ হাসিনার ইমেজকে নষ্ট করার জন্য, উন্নয়নকে থামিয়ে দেয়ার জন্য এবং আমাদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

বর্তমান জঙ্গি হামলার ঘটনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় পশ্চিমারা আইএসের ধূয়া তোলেছে। গুলশান হামলার পর পশ্চিমা বিশ্ব আবার আইএসের ধূয়া তোলে সহযোগিতার নামে ছুটে আসতে শুরু করেছে। আমরা তাদের বলতে চাই, বিশ্বায়নের যুগে সহযোগিতা অবশ্যই নেব। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়- এমন সহযোগিতা আপনাদের কাছ থেকে গ্রহণ করবেন না। শেখ হাসিনা যেখানে আছেন সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে দিবেন না।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এসময় দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই