শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই বাহিনী গড়ে সাজিদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হচ্ছিল সাজিদ বাহিনী৷ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানসহ তিন জেলায় ঘাঁটি করে বাহিনী গড়ে তুলছিল সাজিদ। আর ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গিদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছে সাজিদ ৷

ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআ ইএর জেরায় এ তথ্য জানিয়েছে সাজিদ নিজেই। এতে স্পষ্ট হয়েছে, শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের পরিধি বাড়াচ্ছিল সাজিদ বাহিনী৷এই জঙ্গিদের অধিকাংশকেই অস্ত্র ও গ্রেনেড হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷

জানা গেছে, শুধু শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে সাজিদ বাংলাদেশ জুড়ে ৩০০ জঙ্গিকে ছড়িয়ে দিয়েছে৷ সাপ্লাই করা হয়েছে বিস্ফোরকও৷

২০১২ সালে ভারতে আসার পর পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ৩০০ জনকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও কুষ্টিয়াসহ আরো কয়েকটি জেলায় তাদের ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশের আর কোথায় কোথায় জঙ্গিরা ছড়িয়ে আছে, তা জানতে এখনও জেরা করা হচ্ছে সাজিদকে। কোন পথে ও কীভাবে নাশকতা ঘটানো হতে পারে, তা জানারও চেষ্টা চলছে।

২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের পর সাজিদ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার হওয়া মোনায়েম ওরফে মনোয়ার হোসেনকে ফোন করে বলেছিল, ‘গোলমাল হয়ে গেছে। এখন কিছুদিন লুকিয়ে থাকতে হবে।আত্মগোপন করে থাকা ডেরা থেকেই নাশকতার ছক কষতে হবে।‘

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে দমদম বিমানবন্দরের কাছে বিধাননগর পুলিশের হাতে ধরা পরার পর সাজিদ নিজেকে বোরহান শেখ প্রমাণের চেষ্টা করে। এনআইএর মতে, সাজিদের এই পরিকল্পনা আসলে তার ভাই বোরহানকে বাঁচানোর একটা পথ ছিল। বোরহান মালয়েশিয়া প্রবাসী বলে দাবি করা হলেও, সে এই জঙ্গি চক্রে সক্রিয়ভাবে জড়িত৷ সাজিদ গ্রেফতার হওয়ার পর বোরহান যাতে অসমাপ্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তাই সাজিদ দাবি করছিল সে-ই বোরহান।

বর্ধমানে বিস্ফোরণে জড়িত অন্যতম চক্রী বোরহানকেও খুঁজছে এনআইএ। তাকে ধরতেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

দমদম বিমানবন্দরের কাছে বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সাজিদ বাহিনীর উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই