নানকের হুঁশিয়ারি :

শেখ হাসিনাকে অপমানের জবাব দেয়া হবেই

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, “আপনার ছেলেকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। কিন্তু মৃত্যুর পর সামাজিক-ধর্মীয়ভাবে কোনো প্রশ্ন থাকে না। শেখ হাসিনা মায়ের মমতা নিয়ে ছুটি গিয়েছিলেন সমবেদনা জানাতে। কিন্তু দরজা বন্ধ রেখে তাকে যে অপমান করা হয়েছে। সেটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে অপমান। এই অপমানের প্রতিউত্তর দেয়া হবেই।”

রোববার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, “খালেদা জিয়া ২১ দিন ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে গুপ্তঘাতকদের নামিয়ে দিয়ে গুপ্তহামলা চালাচ্ছে। নির্দেশ দিযে যাত্রাবাড়ি গাড়িতে অ্গ্নিসংযোগ করেছে। সেখানের দগ্ধ মানুষ আজ মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। রক্তগঙ্গা বহিয়ে দিতে চান। নাশকতা-তা-বের অর্জন কী মানুষ জানতে চায়।”

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, “শুনতেছি লাশ নিয়ে না কী আরো ষড়যন্ত্র-নাটক হবে। লাশ নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র হয় এর দায়-দায়িত্ব আপনাকে (খালেদা) নিতে হবে।”

জাসদের মহানগরের সমন্বয়ক মীর হোসেন আকতারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন প্রমুখ।

মায়া বলেন, “সব নাটক ভালো হয় না। নাটকের স্ক্রিপ্ট, নায়ক-নায়িকা ভালো না হলে মানুষ নাটক পছন্দ করে না।”

প্রধানমন্ত্রীকে কার্যালয়ে ঢুকতে না দেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, “আপনাকে যারা উপদেশ দিচ্ছে তারা আপনাকে ডুবাতে চায়। শুধু ডুবাতে নয়, রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করতে চায়।”

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “২০১৯ সালের আগে নির্বাচন নিয়ে ভাববেন না। যতই ইনজেকশন দেন, যতই বোমা মারেন, মানুষ হত্যা করেন। ২০১৯ সালের আগে মানুষ নির্বাচন চায় না।”



মন্তব্য চালু নেই