শুল্ক ফাঁকি জেনে চার কোটি টাকার গাড়ি ফেলে গেলেন ‘সম্মানিত’ ব্যক্তি

দাম প্রায় চার কোটি টাকা। অথচ একটি মাত্র চিঠি লিখে মূল্যবান গাড়িটি ফেলে রাখা হলো। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে জার্মানির তৈরি পোরশে মডেলের গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। চিঠিতে গাড়িটির মালিকের নাম-ঠিকানা কিছুই উল্লেখ করা নেই।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক শরীফ আল হাসান বলেন, হাতিরঝিলের রানার বিল্ডিংয়ের সামনের ব্রিজের ওপর গাড়িটি পড়ে ছিল। এর চাবি ভেতরে পাওয়া যায়। আর চালকের আসনে একটি চিঠি রাখা ছিল। পোরশে কায়ানে ৯৫৫ মডেলের গাড়িটি ২০০৫ সালে তৈরি। বাংলাদেশে ২০১০ সালে আনা হয়। কারনেট সুবিধায় গাড়িটি আনা হয়েছিল। তবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি এটি। গ্যারেজ নম্বরে গাড়িটি চলছিল।

শরীফ আল হাসান বলেন, গাড়ির ভেতরে পাওয়া চিঠিটি শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক মইনুল খান বরাবর লেখা। চিঠিতে গাড়ির মালিক তাঁর পোরশেটি স্বেচ্ছায় শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করছেন। মালিক তাঁর পরিচয় গোপন রেখে মানসম্মান রক্ষার্থে গাড়িটি পরিত্যাগ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল। গাড়িটি শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে তিনি সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন বলে জানান।

শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কারনেট সুবিধার আওতায় কোনো বিদেশি চাইলে তাঁর নিজের গাড়ি নিয়ে বিনা শুল্কেই যেকোনো দেশে প্রবেশ করতে পারেন। তবে ফিরে যাওয়ার সময় তা ফেরত নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত এক বছরের জন্য এই সুবিধা বহাল থাকে।

ইংল্যান্ডপ্রবাসী এক নারী গাড়িটি এ দেশে নিয়ে আসেন বলে জানান উপপরিচালক শরীফ আল হাসান। তিনি বলেন, গাড়ির ইঞ্জিন নম্বর যাচাই করে জানা যায় যে এটি ২০১০ সালে ইংল্যান্ডপ্রবাসী ফরিদা রশিদ নামের এক নারী চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। শুল্কসহ গাড়িটির মূল্য চার কোটি টাকা।



মন্তব্য চালু নেই