শুরু হয়ে গেল হিলারি-ট্রাম্প যুদ্ধ!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়নের দৌড়ে টিকে আছেন মার্কিন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মনোনয়ন শুধু সময়ের ব্যাপার। অপরদিকে দুদিন আগে ডেমোক্রেটিক দল থেকে মনোনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডেলিগেট নিশ্চিত করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। আজই এই দুজনের মধ্যে একরকম নির্বাচনী যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আপাতত এই যুদ্ধের মাঠ অন্যতম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক টুইটবার্তার নিচে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। দাবিটি এসেছে হিলারি ক্লিনটনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বৃহস্পতিবার হিলারিকে সমর্থন দিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভিডিওবার্তা টুইটারে প্রকাশের মধ্য দিয়েই ঘটনার শুরু। ওবামা বলেন, হিলারি প্রেসিডেন্ট পদে সবচেয়ে যোগ্য এবং তিনি হিলারির সঙ্গেই আছেন। ওবামার এই সমর্থন কার্যত ডেমোক্রেটিক দল থেকেই হিলারির প্রতি সমর্থন।

হিলারির প্রতি ওবামার সমর্থনের কটাক্ষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটবার্তায় লেখেন, ‘অসৎ হিলারিকে সমর্থন দিলেন ওবামা। সে আরো চার বছরের জন্য ক্ষমতায় ওবামা প্রশাসনকে চায়—কিন্তু অন্য কেউই এটি চায় না।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই টুইটের নিচে হিলারির অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটবার্তায় বলা হয়েছে, আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করুন। লাইনের শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টের লিংক দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বিষয়টি মজার যুদ্ধ হলেও বিব্রতকরও বটে। ক্লিনটন এইডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৬৮ বছর বয়স্ক হিলারির অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তাটি পাঠিয়েছেন তাঁরই এক তরুণ কর্মী।

মজার বিষয় হলো, ট্রাম্পের করা টুইটবার্তায় রিটুইট (পুনরায় টুইট) হয়েছে ৩০ হাজারবার। আর লাইক পড়েছে ৬৭ হাজার। অপরদিকে হিলারির অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইটবার্তার রিটুইট হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজারবার। আর হিলারির বার্তায় লাইক পড়েছে চার লাখ ৫৪ হাজার।

হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা অ্যালেক্স ওয়েল বলেন, ট্রাম্পকে অ্যাকাউন্ট বন্ধের দাবি করা হিলারি ক্লিনটনের বার্তার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক অর্থে ‘বিস্ফোরিত’ হয়। এক ঘণ্টার মধ্যেই বার্তাটি দুই লাখ বার রিটুইট হয়। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর এই প্রথম কোনো বার্তা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তরুণ মার্কিনিরা বিষয়টি কৌতুক হিসেবে ভালোভাবেই নিয়েছেন।

তবে এরই মধ্যে হিলারির বার্তার পর তাঁর ব্যক্তিগত ইমেইলবিষয়ক জটিলতা আবার সামনে এসেছে। ওই কেলেঙ্কারি ভালোভাবে সামলাতে পারেননি শীর্ষ এই মার্কিন রাজনীতিবিদ। হিলারির ইমেইল কেলেঙ্কারির সমালোচনা করেন ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান অনেক প্রার্থী। তাঁদের দাবি, এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন। এ ছাড়া অনেক ইমেইল হিলারি মুছে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন রিপাবলিকানরা।



মন্তব্য চালু নেই