শুরু হয়েছে মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা

মাগুরা প্রতিনিধি ॥ ষষ্টি পূজার মাঝ দিয়ে ৬ নভেম্বর রবিবার থেকে শুরু হয়েছে মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যয়নী উৎসব। যা শেষ হবে ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে দশমীর মাঝ দিয়ে। তবে এ উপলক্ষে মেলা চলবে একমাস। এ বছর কাত্যায়নী উৎসবকে আরো আকর্ষণীয় করতে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মাগুরা শহরের পূজা মন্ডপ ও এর আসপাশের এলাকা। দেশের লক্ষ-লক্ষ দর্শনার্থীর আগমনের কথা চিন্তা করে পুজা কমিটিগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিমা তৈরী গেট-প্যান্ডেল, ডিসপ্লে ও লাইটিংয়ে আনা হয়েছে নতুনত্বের ছোয়া।

উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু জানান, এ বছর জেলায় ৮৪ টি মন্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাগুরা শহরে ব্যাপক আয়োজনে হচ্ছে ১৪ টি।এটি হিন্দু ধর্মাম্বলীদের পূজা হলেও এ উৎসবে অংশ নেন ও সহযোগিতা করেন সকল ধর্ম, বর্নের মানুষ। এ উৎসবকে ঘিরে দেশ-বিদেশের লক্ষ-লক্ষ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। সে কারনে দর্শকদের তৃপ্তি মেটাতে এবছর তারা একদম নতুন অঙ্গিকে প্রতিমা তৈরী করেছেন। আলোকসজ্জা ও ডিসপ্লের পাশাপাশি রামায়নের বর্নিত কাহিনী অনুসারে তৈরী করেছেন গেট, প্যান্ডেল।

দরিমাগুরা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পি উজ্জলগুরু জানান, তিনি প্রতিমার মাঝ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন কাত্যায়নী রূপে মঙ্গলময়ী মা দূর্গা ও তার সন্তানেরা কিভাবে সকল অসুভ শক্তিকে পরাস্ত করে মানুষের কল্যানে কাজ করছেন।

একইভাবে নিজনান্দুয়ালী নিতাইগৌর গোপাল সেবাশ্রম, জামরুল তলা, নতুন বাজার সাহাপাড়া, পারনান্দুয়ালী, সাতদোহা পাড়া, বাটিকাডাঙ্গা এলাকার পূজা মন্ডপগুলোও তাদের আয়োজনে ভিন্নতা এনেছেন।

মাগুরা পুলিশ সুপার এহসান ঊল্লাহ জানান, কঠোরভাবে কাত্যায়নী পূজার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক, আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়া গোটা শহর ও পূজা মন্ডপ এলাকায় বাসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।



মন্তব্য চালু নেই