শুরু হচ্ছে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রসচিবদের বৈঠক

বাংলাদেশের ঢাকায় আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যপী বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক। জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান রোধ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনা বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রথমে দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে৷ কাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন দুই দেশ স্বরাষ্ট্রসচিবসহ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দুই দেশে ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর উপস্থিতি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান এবং ভারতের পক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মহর্ষি নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন৷

তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বন্দি বিনিময়, সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের সমস্যা ও বাস্তবায়ন এবং সীমান্ত সমস্যা আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান, বিকাশ ও কার্যক্রম বন্ধের ব্যপারে আমরা সজাগ আছি।’
এ ছাড়া বাংলাদেশের দণ্ডপ্রাপ্ত যেসব আসামি যারা ভারতে পালিয়ে গেছে বা ভারতের সন্ত্রাসীদের কেউ এদেশে পালিয়ে থাকলে, তাদের হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পরস্পরকে আহ্বান জানাবে দুই দেশ।

অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাছে কয়েকটি সীমান্ত চৌকি নির্মাণের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহারের বিষয়েও এ বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, গরু পাচাররোধ, সন্ত্রাস ও অবৈধ অভিবাসনের বিষয়গুলো অালোচনায় প্রাধান্য পাবে ৷

স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে গেছে, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ভারতের কারাগারে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের ফেরত দেওয়া, ত্রিপুরা সীমান্তে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের দাবি জানাবে বাংলাদেশ ৷ অার ভারত গরু চোরাচালান বন্ধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, বাংলাদেশের কারাগারে থাকা ভারতের সন্ত্রাসীদের ফেরত দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে জানাতে পারে ৷

এ ছাড়া বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে গাড়ি চলাচল চুক্তি কার্যকরের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে ৷



মন্তব্য চালু নেই