শুধু ধর্ষণ নয়, জালিয়াতিও তার পেশা…

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল লটারিতে জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে শুধু তাই নয়, তিনি এর আগে ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধও করেছেন।

এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টেলিগ্রাফ।
ধর্ষণের আসামি এডওয়ার্ড পুটম্যানের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ উঠল আড়াই মিলিয়ন ডলারের লটারি জালিয়াতির।

৫১ বছর বয়সী পুটম্যান ২০০৯ সালে লটারিটিতে বিজয়ী হন বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন তার লটারির টিকিট নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

পুটম্যান এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের সে ঘটনায় তার সাত বছরের জেল হয়। ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি। সেই সময় ওই তরুণী গর্ভবতী ছিলেন।

এ ছাড়া ১৯৮০ সালে তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশীকে আঘাত করার অভিযোগ করা হয়।
তবে এখানেই শেষ নয়, নানা ধরনের জালিয়াতি ঘটনাতেও পুটম্যান অভিযুক্ত হন। এসব জালিয়াতির মধ্যে রয়েছে নিজেকে অসুস্থ হিসেবে দাবি করে সরকারি ভাতা উত্তোলন।

সম্প্রতি পুটম্যানের এসব জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশিত হয়ে গেলে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে জানা যায়, তিনি লটারি দাবি করেন সময়সীমা পার হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে। সে সময় তিনি জানান, তার লটারিটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে নম্বরটি তারই। এরপর তাকে লটারির বিপুল অর্থ প্রদান করা হয়। তদন্তে জানা গেছে, তিনি লটারি কিনেননি।

কিন্তু কিভাবে তিনি এ মিথ্যা দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। কারণ লটারি দাবি করার পর বেশ সতর্কতার সঙ্গেই তা যাচাই করা হয়। এ কারণে ঘটনার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে লটারিতে বিপুল অর্থ বিজয়ের পর বাড়ি কেনেন তিনি। তবে তার পরও অর্থসংকটের কথা বলে তিনি সরকারি ভাতা উত্তোলন করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ ও কাজ করতে অক্ষম এ ধরনের দাবি করেন। সে বিষয়টিও তদন্তাধীন রয়েছে।

এসব অভিযোগ নিয়ে সে ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, তারা পুটম্যানের বিরুদ্ধে লটারি জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করছেন। তবে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে তদন্তকাজ চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই নতুন তথ্যপ্রমাণ হাতে না আসা পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই