শুধু দর্শনধারী হলে হবে না, ব্যক্তিত্বে এই ৭ বৈশিষ্ট্যের খামতি হলে দফারফা…

হাতের লেখা—
প্রতিটা মানুষের হাতের লেখার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। বিশেষ করে হরফের গঠন থেকে তার আকার একজনের হাতের লেখায় এক এক রকমের। মনে করা হয় একজনের হাতের লেখা একজনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক। মানুষটা ‘কুটিল’ না ‘জটিল’? ‘স্মার্ট’ না ‘শাই’? তা নাকি এই হাতের লেখার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তাই অনেক সময় অনেকে খারাপ হাতের লেখা শোধরাতে ক্যালিওগ্রাফি বিশেষজ্ঞের সাহায্যও নেন। ‘ন্যাশনাল পেন কোম্পানি’-র করা একটি সমীক্ষা বলছে, যাঁদের হাতের লেখায় অক্ষরের মাপ ছোট তাঁরা চরিত্রগতভাবে ‘শাই’ এবং ‘স্টুডিয়াস’ হন। যাঁরা একটু বড় অক্ষর লিখতে অভ্যস্ত, তাঁরা চরিত্রগতভাবে খুব ‘স্মার্ট’ এবং ‘সামাজিক’ হন।

জাপা-কাপড়ের রঙ—
অধিকাংশ মানুষই এমন রঙের জামা-কাপড় পরতে চান যা তাঁদের ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল করবে। কিন্তু, অনেকেই জানেন না জামা-কাপড়ের রঙ আপনার চরিত্র কেমন তাও প্রকাশ করে। যাঁরা কালো রঙ পছন্দ করেন তাঁরা সাধারণত স্পর্শকাতর হন। যাঁরা লাল রঙ পছন্দ করেন তাঁরা রোমাঞ্চপ্রিয় এবং রক্ষণশীল হন। সবুজ রঙ পছন্দকারীদের মধ্যে আনুগত্যের গুণ বেশি থাকে। সাদা রঙে যাঁদের ঝোঁক তাঁরা চরিত্রগতভাবে যুক্তি দিয়ে কথা বলতে এবং সাজানো-গোছানো জীবন পছন্দ করেন।

শরীরি অঙ্গ-ভঙ্গি— জানেন কি দাঁতে নখ কাটা আসলে ‘নার্ভাসনেস’-এর লক্ষণ। চুলের মধ্যে বারবার আঙুল চালানো বা নখ দিয়ে ত্বকে দাগ কাটা হতাশার লক্ষণ।

জুতো— প্রবাদেই আছে, একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের সবচেয়ে বড় পরিচয় তাঁর জুতো। জুতোর রঙ, জুতোর হাল নাকি বলে দেয় মানুষটি কতটা স্মার্ট, কতটা বোকা বা ব্যক্তিত্বের মজবুতি কেমন। জুতোয় পালিশ চকচক করলে নাকি বোঝা যায় মানুষটি বেশ স্মার্ট। জুতোর ডগা সুচলো এবং চকচক করলে বোঝা যায় মানুষটির ব্যক্তিত্ব শুধু ক্ষুরধার নয়, তীক্ষ্ণও বটে। জুতোর বিবর্ণ রঙ নাকি বলে দেয় মানুষটির মনের জোর কম।

কথা বলার সময় চোখের অবস্থান— কথাতেই আছে ‘আই টু আই কনট্যাক্ট’। কেউ যদি কথা বলার সময় চোখ নামিয়ে কথা বলে তা নাকি ‘শাই’ এবং ‘নরম চরিত্র’-এর লক্ষণ। মুখের দিকে তাকিয়ে যাঁরা কথা বলেন তাঁরা আসলে জীবনে খুব একটা ‘ফোকাস’ নন। যাঁরা চোখের মণির দিকে তাকিয়ে কথা বলেন তাঁরা অত্যন্ত ক্ষুরধার এবং কড়া ব্যক্তিত্বের মানুষ হন।

সময়ানুবর্তিতা— ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে নির্দিষ্ট সময়ে কোথাও পৌঁছতে পারলেন না, এটা এক ধরনের বিষয়। কিন্তু, সর্বত্রই দেরি করে পৌঁছানো যাঁদের অভ্যাস তাঁরা সতর্ক হন। কারণ, এটা বোঝায় মানুষটির ‘মোটিভেশন’-এর অভাব আছে। যাঁরা কোনও গুরুত্বপূর্ণ দিনে নির্দিষ্ট সময়ের আগে গন্তব্যে পৌঁছে যান তাঁদের মধ্যে ‘সেলফ মোটিভেশন’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’-র মতো গুণগুলি আছে।

হ্যান্ডশেক— এটাও একজনের ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। যাঁরা জোরে হ্যান্ডশেক করেন তাঁরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী হন বলে মনে করা হয়। যাঁরা আস্তে হ্যান্ডশেক করেন তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকে বলে মনে করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই