শুধু কুমির ধরেই শান্ত হন না, তাদের সঙ্গে কুস্তিও করেন! চিনে নিন এই সাহসিনীকে…

কুমির কীভাবে ধরেন বা ধরার পরে কী করেন, তাও জানিয়েছেন কেইলা।

তখনও স্কুলে ভরতি হননি কেইলা গারভি। তাঁর বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর। জ্বলজ্যান্ত একটা কুমির ধরে ফেললেন সাহস করে। সকলের চক্ষু চড়কগাছ! করেছে কী বাচ্চা মেয়েটা! কিন্তু যাঁরা চমকেছিলেন, তাঁরা অবাক হননি ততটাও। তার কারণ, সরীসৃপদের প্রতি কেইলার ভালবাসা সেই পাঁচ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়েছিল। কুমির সেই প্রথম ধরেছিলেন, তবে তার আগে অনান্য সরীসৃপ নিয়ে তাঁর খেলা চলতই। কেইলাকে যাঁরা চিনতেন, তাঁদের অজানা ছিল না বিষয়টা। এই নেশাকে সঙ্গে নিয়েই তিনি পথ চলেছেন বরাবর। এখন তাঁর বয়স ২৪। এর মধ্যে একশোরও বেশি সরীসৃপ ধরে ফেলেছেন, যাদের মধ্যে অনেকের আয়তন ১২ ফুটেরও বেশি।

কেইলার বাবা কেভিন গারভি মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের একজন পেশাদার শিকারী ছিলেন। ফ্লোরিডার কোনও বাড়িসংলগ্ন বাগানে যখন হঠাৎ অপ্রত্যাশিত কোনও পশু বা সরীসৃপের আগমন ঘটত, তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকা হত কেভিনকে। আর বাবার প্রত্যেকটা অভিযানে সঙ্গ নিতেন ছোট্ট কেইলাও। সেখান থেকেই সম্ভবত তাঁর উৎসাহ বাড়তে থাকে সরীসৃপদের প্রতি।

তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এটা করতে ভালবাসি আর ভয়ও পাই না। প্রথম প্রথম একটু ভয় লাগত। তবে আজ পর্যন্ত কোন কুমির আমায় আঘাত করেনি। আমি তাদের লেজের দিক থেকে ধরি। তাই কখনও বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি।’
কুমির কীভাবে ধরেন বা ধরার পরে কী করেন, তাও জানিয়েছেন কেইলা। ফ্লোরিডার কোথাও কুমির দেখা গেলে স্থানীয়রা খবর পাঠান তাঁকে। তিনি এসে প্রথমেই জলাশয় থেকে কুমিরটিকে ডাঙায় টেনে তোলেন। তার পর তার গলার চারপাশে একটি ফাঁস দিয়ে দেন, যাতে মাথা নড়ানোর বিশেষ উপায় না থাকে। তার পরে তার পিঠের উপরে চেপে মুখে টেপ লাগিয়ে দেন। কুমিরের দৈর্ঘ্য যদি পাঁচ ফুটের বেশি হয়, সেক্ষেত্রে মাংস ও চামড়ার উদ্দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাকে। তুলনামূলক ছোট কুমিরকে ছেড়ে দেওয়া জঙ্গলে।

কেইলা জানিয়েছেন, তিনি তাদের ধরেই শুধু ক্ষান্ত হন না। ১৯ বছর বয়স থেকে কুস্তিও লড়ছেন তাদের সঙ্গে। প্রদর্শনীর সময় কী করে কুমিরের মুখ খোলাতে হয়, সেই বিদ্যাও রপ্ত করে ফেলেছেন ২৪ বছরের এই সাহসিনী।



মন্তব্য চালু নেই