শীতের আমেজে ভাপা পিঠা

প্রকৃতিতে শীতের আমেজ। শুধু শীতের আমেজ নয়, এর সঙ্গে মাত্রা যোগ করেছে নবান্নের আমেজও। শীত আসলে আমাদের দেশে পিঠা খাওয়ার ধুম উঠে। শীতকালে অন্যান্য খাবারের চেয়ে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে চারদিকে। আর এই ধুমটা যদি হয় শীতের ভাপা পিঠা (ধুপি পিঠা) খাওয়ার তাহলে তো কোন কথায় নেই। নগরীর ওলি গলিতে শুরু হয়েছে শীতের ভাপা পিঠা বিক্রি। এই ভাপা পিঠা ছোট বড় সকলের পছন্দের।

পিঠা তৈরী করতে প্রয়োজন হয়, চালের গুঁড়া, পানি পরিমাণমতো, নারিকেল কোরা, খেজুরের গুড় বা পাটালি, ঘন দুধ পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো।

ভাপা পিঠা নগরীর সাহেব বাজার, নিউ মার্কেট, রেলগেট, আলুপট্টির মোড় বঙ্গবন্ধু চত্বর, তালাইমারী, বিনোদপুর, রাবি স্টেশন বাজার, মোন্নফের মোড়, সাধুর মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ পিঠার আকার অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি পিঠা ৫টাকা থেকে ১০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়।

পিঠা খেতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, শীতের ভাপা পিঠা না খেলে মনে হয় না যে শীত এসেছে। সকাল বেলা খেতে আরো ভাল লাগে তবে সন্ধ্যায় খেলে যে ভালেনা তা কিন্তু নয়। একটু নারিকেলের সঙ্গে খেজুরের গুড় হলে আরো ভাল লাগে। বাড়িতে বানাতে একটু কষ্ট কর হয়ে যায় তাই। আমি খেলাম আর পরিবারের বাকি সদস্যদের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।

এলীন ইসলাম ইলা বলেন, সব পিঠার চেয়ে ভাপা পিঠা বেশি ভাল লাগে। পিঠা গুলোর দাম বেশি না। অল্প টাকায় পিঠা বলতে ভাপা পিঠা। আর এর সঙ্গে খেজুরের গুড় ও নারিকেল হল এর স্বাদ আরো বেড়ে যায়।

পিঠা বিক্রেতা নগরীর কেদুর মোড় এলাকার রহমত আলী বলেন, আমার পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা উপার্জন হয়। আমি বিকেলর পরেই আলুপট্টিতে চলে আসি একটা ভ্যান নিয়ে। আর ভ্যানের ওপরে পিঠা বানাতে যা যা লাগে সব নিয়ে আসি।



মন্তব্য চালু নেই