শীতেও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে যা খাবেন

স্বাস্থ্য ও ত্বক ভালো রাখতে ফলের জুড়ি নেই। বাজার থেকে মৌসুমি কয়েকটা ফল কিনে খান। প্রয়োজন পড়লে ফ্রুট স্যালাড বানান কিংবা ফ্রুট সিরাপ মিশিয়ে খান। পেটও ভরবে কিন্তু ফ্রুট ফাইবারে।

জেনে নিন কোন ফলের কী গুণাগুণ—

কিউয়ি

কিউয়ি’তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ফলে শরীরে কোলাজেন তৈরি করতে কিউয়ি কাজে লাগে খুব। ভিটামিন ‘ই’ ও থাকে এই ফলে। সুতরাং আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতেও কিউয়ি উপকারী।

অ্যাভোকাডো

শীতকালে ত্বক বা চুলের রুক্ষভাব দূর হবে, যদি নিয়মিত অ্যাভোকাডো রাখেন ডায়েটে। ফেসপ্যাক বা হেয়ারপ্যাক হিসেবেও অ্যাভোকাডোর জবাব নেই। অ্যাভোকাডোর ভিটামিন ই ত্বক নরম আর পরিষ্কার রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাও জোগায় শরীরে।

বেদানা

এই ফলে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, আর কোনও কিছুতেই পাবেন না! ভিটামিন ‘সি’ আছে বেদানায়। যাদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তারা শীতে একটু বেশিই সমস্যায় পড়েন। ফাটা ত্বকে ধুলোবালি ঢুকে গিয়ে সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। বেদানার ভিটামিন সি ত্বকের পোরগুলোকে টাইট রাখে। ফলে ময়লা জমে না, আবার রিঙ্কলও পড়ে না। ব্রেকফাস্টের পর এক গ্লাস বেদানার রস খান নিয়মিত।

আমলকি

ডিটক্স করার জন্য আমলকির দোসর হয় না। রক্ত পরিশ্রুতও করে আমলকি। তাছাড়া বিভিন্ন ভিটামিনের সমাহার ত্বক এবং চুলে পুষ্টিও জোগায়। দরকার পড়লে জুস বানিয়ে খান। বাজারচলতি প্যাকেজ ড্রিংক এড়িয়ে বাড়িতেই রস করে নিন।

পাকা পেঁপে

ভিটামিন এ-তে ভরপুর পাকা পেঁপে। তাছাড়া নানারকম ফ্রুট এনজাইম রয়েছে, যেগুলো ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খাওয়ার সময় এক টুকরো মুখে মেখেও নিতে পারেন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন! পেঁপে হজম হওয়ার সময় কিন্তু তাড়াতাড়ি ভাঙে এবং প্রোটিন ফ্যাক্টরগুলো দ্রুত রক্তে মিশে তার পরিশোধনও ঘটায়।

আতা

ভিটামিন এ ও সি— দু’টোই রয়েছে আতায়। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে তো রাখে, তার সঙ্গে ন্যাচারাল স্ক্রাবারের কাজটাও করে। সংক্রমণও দূরে রাখে। আবার আতা যদি রস করে খাওয়া যায় নিয়মিত, তাহলে মরা কোষ ঝরে গিয়ে নতুন ঝকঝকে ত্বক তৈরি হবে ভিতর থেকে। কোথাও কেটে-ছড়ে গিয়ে থাকলেও আতার রস লাগান অনেকে। এটা কিন্তু পুরনো দাওয়াই!



মন্তব্য চালু নেই