শিশু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশের মনিকে ক্যামেরনের পরামর্শ

বাল্য বিবাহ ও শিশু নির্যাতনে বিরুদ্ধে সমাজের সর্ব স্তরের জনগণকে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্ব সাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মনি বেগম। সে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র শিশু প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়।

রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তেন সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেধাবী এই শিক্ষার্থী এ আহ্বান জানায়।

মনি বেগম বলে, ‘জাতিসংঘের পরিষদে আমি ৫ বছরের নিচের শিশুমৃত্যু কমানোর বিষয়ে কথা বলেছি। এছাড়া শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়টিও তুলে ধরেছি। তবে শিশু নির্যাতন বন্ধে বিশ্ব নেতাদেরকে দৃঢ প্রত্যয় দেখাতে হবে।’

মনি বলে, ‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম- কিভাবে শিশু নির্যাতন বন্ধ করা যায়? ডেভিড ক্যামেরুন আমাকে বলেছেন- শিশু নির্যাতন বন্ধে পরিবার, সমাজসহ সবাইকে ঐক্যেবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলেই শিশু নির্যাতনের হার কমতে পারে।’

এই মেধাবী শিক্ষার্থী বলে, ‘জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান করে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সেখানে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। যা আমাকে আগামীদিনে সামনে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।’

‘জাতিসংঘে গিয়ে আপনার অর্জন কী, এই অর্জনকে আপনি কীভাবে কাজে লাগাবেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে মনি বলে, ‘জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রথমত আমি শিখেছি কিভাবে বাল্য বিবাহ ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করা যায়। মূলত এই দুটি বিষয়েই আমি দেশে কাজ শুরু করতে চাই।’

সে বলে, ‘বাংলাদেশে বর্তমান ৬৬ শতাংশ মেয়ে শিশুর ১৮ বছর আগেই বিয়ে হয়ে যায়। আর বিশ্বের মধ্যে মারাত্মক হচ্ছে শিশু বিবাহের ঝুঁকি। তাই এ হার কমানো একান্ত প্রয়োজন বলেও আমি জাতিসংঘের অধিবেশনে কথা বলেছি।’

শিশু বিবাহের ক্ষতির দিক প্রসঙ্গে মনি বলে, ‘শিশু বিবাহের ফলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হয় মা, শিশু, পরিবার এমনকি দেশ। আর শিশু বিবাহের ফলে কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ, মৃত্যু ও শিশু মৃত্যু, মা ও শিশুর অপুষ্টি এবং বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়ে যায় নারী।’

সংবাদ সম্মেলনে সেভ দ্য চিলড্রেন হেলথের ডিরেক্টর ডা. ইশতিয়াক মান্নান, ম্যানেজার তাজকিন রহমান, মিডিয়া কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই