শিরক ও কুফর ত্যাগেই ক্ষমা লাভের ঘোষণা

পবিত্র নগরী মক্কায় যারা যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে এবং ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে তথা জীবন-বিধান হিসেবে ইসলামকে মেনে নেবে আল্লাহ তাআলা তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। যদিও তারা মুসলমানদেরকে পবিত্র হারাম শরিফে হত্যা করে; তবুও তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। শর্ত হলো- তাদের ক্ষমা লাভের একমাত্র উপায় হলো ইসলামকে মেনে নেয়া। আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেন-

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ১৯১নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেন যে, তারা যাতে প্রথমেই কারো ওপর হামলা না করে; যখন তারা আক্রান্ত হবে তখন যেন আক্রমণকারীদের আঘাত করে। তাছাড়া মদিনা মুনাওয়ারায় নাজিল হওয়া আয়াতটিও ছিল জিহাদের প্রথম হুকুম।

এ আয়াতটি সপ্তম হিজরিতে ওমরা পালনের সময় আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, যারা মুসলমানদের পবিত্র হারাম শরিফে হত্যা করে জঘন্য অপরাধ করেছে; তারা যদি পবিত্র ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করে, তবেই তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণেই রয়েছে তাদের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মতো জঘন্য অপরাধের ক্ষমা। কেননা আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল এবং দয়ালু।

কোনো লোক যদি মুসলমানদের নির্যাতন বন্ধ করে দেয় তবে সে ক্ষমা লাভ করবে না। অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করে কুফর এবং শিরক থেকে ফিরে আসতে হবে। কারণ আয়াতে উল্লেখিত দয়া এবং ক্ষমা শুধুমাত্র কুফর ও শিরক থেকে প্রত্যাবর্তনকারীর জন্যই প্রযোজ্য।

আল্লাহ তাআলা অন্যত্র ইরশাদ করেন- ‘যারা কুফরি করে তাদের বলে দিন, তারা যদি (কুফর থেকে) বিরত হয়; তবে তাদের জন্য অতীতে যা (গোনাহ) হয়েছে; তা ক্ষমা করে দেয়া হবে।’

আর ইসলাম গ্রহণের মূল বিষয় হলো- শিরক এবং কুফর থেকে ফিরে আসা। যদি কোনো মানুষ শিরক ও কুফর থেকে ফিরে আসে, ক্ষমা এবং দয়া শুধুমাত্র তাদের জন্যই। কুরআনের এ আয়াতের দ্বারা বুঝা যায় যে, সে ইসলাম গ্রহণ করার সাথে সাথেই মানুষ বেগোনাহ মাছুম হিসেবে পরিগণিত হবে।

পরিষেশে…
আয়াতের নির্দেশ অনুযায়ী কুফর ও শিরক পরিত্যাগকারী ব্যক্তিই হবে ক্ষমা ও দয়া লাভের অধিকারী। আল্লাহ তাআলা সে সব মানুষকে দ্বীন গ্রহণের তাওফিক দান করুন, যারা ইসলামকে ভুল বুঝে কুফরি এবং শিরকের সঙ্গে জড়িত। আল্লাহ তাআলা সবাইকে কুফর এবং শিরকমুক্ত জীবন যাপন করে তাঁর ঘোষিত একান্ত ক্ষমা এবং দয়া লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই