শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গণপিটুন

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় বনভোজনের চাঁদা না পেয়ে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে মারপিট করার ঘটনায় চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তুলকালাম কা- ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে।

শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে ২৯ মার্চ বনভোজনের আয়োজন করা হয়। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ সব শিক্ষকরা শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এ চাঁদা তোলার জন্য প্রধান শিক্ষক সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে দায়িত্ব দেন।

তবে বিদ্যালয় চত্বরে বনভোজন করতে দ্বিমত পোষণ করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী চাঁদা দেবে না বলে জানালে শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ ঘটনায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ওই বিদ্যালয়ের পিয়াস, রাকিব, রুমা, পারভেজ, সেলিম, মাহফুজা, শামিম, রাজু, রিয়া, বৃষ্টি, আসিব, স্বপন, শাবনুর, চৈতী ও রাহিদসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বেতরাঘাত করে।

সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে অবিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে ধাওয়া করলে তিনি অফিস কক্ষে খিল মেরে প্রানে রক্ষা পান। পরে বিক্ষিপ্ত জনতা প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে আহত করে। পরে বাঘা থানা পুলিশ প্রহরায় প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

এ সময় ক্ষিপ্ত জনতা শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

rajshahi baga school pic 28.03.1215

বিদ্যালয়ে সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ফজল জানান, যে ভাবে শিক্ষার্থীদের মারপিট করা হয়েছে সেটা খুব দুঃখজনক। তিনি নিজেই মারপিটের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে চাকুরিচ্যুত করাসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাবি জানিয়েছেন।

বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী চাকরি থেকে অব্যহতিপত্র লিখে দিলে এবং সেটি স্কুল মাঠে মাইক এনে জনতার উদ্দেশ্যে করে জানানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষককে আটকও করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হালদার জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই