শিক্ষকরা ভিক্ষুক নন, তাদের অনুদান কেন?

ঘোষিত অষ্টম বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাকে অনুদান উল্লেখ করায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতিরি নেতারা। সংগঠনটির সহ-সভাপতি মমতাজ খানম প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষকরা ভিক্ষুক না, আমাদের কেন অনুদান দেয়া হবে?’

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলানায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বেতন-ভাতা সংক্রান্ত ১৯৯৪ সালের প্রেস নোটে শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন অংশ বাবদ প্রাপ্ত অর্থকে “বেতনভাতা বাবদ সরকারি অংশ” নামে অখ্যায়িত করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বেতন স্কেলে এটা “অনুদান” হিসেবে উল্লেখ করে আমাদের যেমন চরমভাবে অপমান করা হয়েছে তেমনি একটি মীমাংসিত বিষয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

তিনি প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, ‘যারা বড় বড় চেয়ারে বসার মতো যোগ্য মানুষ তৈরি করে দিচ্ছেন তাদের কেন অনুদানের ভিক্ষা নিতে হবে? শিক্ষকরাতো ভিক্ষুক না, তারা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দেয়া অর্থ কেন অনুদান হবে?’

সৈয়দ জুলফিকার আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনটির মহাসচিব মো. ইয়াদ আলী খান। লিখিত বক্তব্যে বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারিদের চাকরি জাতীয়করণ, বিনা শর্তে জানুয়ারি মাসের এমপিওভুক্ত বকেয়াসহ নতুন স্কেলে বেতনভাতা পরিশোধ, শিক্ষকদের চাকরির বয়স ৬৫তে উন্নীতকরণসহ নতুন বেতন-স্কেলে নানাবিধ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ যে শর্তারোপ করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি তুলে ধরেন মো. ইয়ার আলী খান।

দাবি পূরণের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেন শিক্ষক নেতারা। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে রাজপথে ‘দুর্বার আন্দোলন’ গড়ে তোলার হুমকি দেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই