শাহজাদপুরে মেয়রসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারপিটের ঘটনায় পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরুসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদের চাচা এরশাদ আলী বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরু, তার ছোট ভাই হাসিবুল ইসলাম পিন্টু ও মিন্টুসহ ১১জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৭ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, ইতিমধ্যেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পৌর মেয়রের ছোট ভাই হাসিবুল হক পিন্টু ও মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও পৌর মেয়রের ব্যবহৃত শটগানটি জব্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারপিট করে দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়রের বাসা থেকে তার ভাই পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেলে শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিম তার শ্যালক ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মারপিটের ঘটনায় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

মিছিলটি মেয়রের বাসার সামনে পৌঁছালে কয়েকজন মেয়রের বাসা লক্ষ্য করে ঢিল মারে। এ সময় পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ভাই পিন্টু ও তার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে মেয়র তার ব্যক্তিগত শটগান থেকে গুলিবর্ষণ করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মেয়রের শটগানের গুলিতে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হন। আহত শিমুলকে উদ্ধারের পর প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুক্রবার সাংবাদিক শিমুলকে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় এলাকায় তিনি মারা যান।



মন্তব্য চালু নেই