শারীরিক ভঙ্গি দেখে বুঝে নিন মনের অবস্থা

কেমন হয় যদি কারো শারীরিক ভঙ্গিমা দেখেই বোঝা যায় তার মনের ভেতরের অবস্থা? ভালোই বৈকি! কেননা সামনে বসে থাকা মানুষটির অভিব্যক্তি বুঝে ফেলা সহজ হবে

দুশ্চিন্তা, বিস্ময় কিংবা ভয় যখন কাউকে গ্রাস করে; তখন মনের অজান্তেই তার ভ্রূ খানিকটা উঁচু হয়ে যায়। চেহারায় অস্বস্তিটা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। কেউ ভ্রূ উঁচু করে যখন আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে অথবা হয়তো কোনো প্রশংসা করছে, সেটাও ভ্রূ উঁচু করে তবে বুঝে নিতে হবে সেখানে যথেষ্ট আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।

কোনো একটা বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলার সময় যদি অন্যজনের কণ্ঠস্বর স্বাভাবিকের তুলনায় খানিকটা উঁচু অথবা নিচু মনে হয়, তবে বুঝে নেবেন আলোচনার বিষয়বস্তুতে তার যথেষ্ট সম্মতি রয়েছে। কণ্ঠস্বরের ওঠানামা দিয়ে সম্মতি কিংবা অসম্মতি খুব সহজে টের পাওয়া যায়।

দীর্ঘক্ষণ কারো চোখে চোখ রেখে কথা বলাটা মিথ্যা বলার লক্ষণ। যখন কাউকে অনেক সময় নিয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে দেখবেন, বুঝে নেবেন সেখানে মিথ্যার পরিমাণটাই বেশি। কেননা যখন কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা বলে, তখন সে এ পন্থাই বেছে নেয়।

কোনো ব্যক্তির অঙ্গভঙ্গি যদি এমন হয় যে, সে দুই পা ভাঁজ করে কিংবা একটা পায়ের ওপর অন্য পা তুলে বসে আছেন, তবে বুঝে নেবেন তিনি সাহায্য করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদার নন। তিনি মধ্যস্থতা ত্যাগ করবেন না কোনোভাবেই।

যখন কেউ সত্যিকার অর্থে খুশি হয়ে হাসবে, তখন তার চেহারায় সেটা বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠবে। কেননা তখন চোখের দু’পাশের খানিকটা অংশ কুঁচকে যাবে। মেকি হাসিতে যেটা কোনোভাবেই হবে না। তাই হাসি দেখেই বুঝে নিন, সামনের মানুষটি আপনার সাফল্যে কিংবা আনন্দের সংবাদে আসলেই কতটা খুশি?

বড়রা প্রায়ই বলে থাকেন, গুরুজনের সামনে পা নাড়ানো বেয়াদবি। তবু হয়তো মাঝে মধ্যেই আনমনে এমনটা করে থাকেন অনেকেই। তবে এমনটা করার পেছনে রয়েছে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা কিংবা বিরক্তি। কেননা পা নাড়ানো উদ্বেগ কিংবা বিরক্তির সংকেতই দেয়।



মন্তব্য চালু নেই