শান্তির ঘুম চাইলে BEDTIME MODE-এ থাকুক মোবাইল

স্মার্টফোন বা একটা ট্যাবলেট হাতের মুঠোয়, মানে দুনিয়া হাতের মুঠোয়। নিঃসন্দেহে মানবসভ্যতায় বিপ্লব। কিন্তু ব্যাপক প্রযুক্তি বিপ্লবের ক্ষতির দিকটা যে কী ভয়াবহ, তা এবার টের পাচ্ছে বিশ্ব। যার নিটফল অবসাদ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি নিঃশব্দ ঘাতক। মানবজীবনের এই সমূহ বিপদ ঠেকাতে নড়েচড়ে বসলেন বিশ্বের তাবড় ডাক্তাররা। চিকিত্‍‌সকদের পরামর্শ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ই-রিডারের নতুন মডেলগুলিতে থাকুক ‘বেডটাইম মোড।’ যাতে শান্তির ঘুমে না ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট।

‘বেডটাইম মোড’ কী?
ব্রিটেনের একদল চিকিত্‍‌সা বিজ্ঞানীর পরামর্শ, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যাতে সুখের হয়, তার জন্য স্মার্টফোন, ট্যাবলেট প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকেও অবলিম্বে দায়িত্ববান হতে। লন্ডনের ইভলিনা চিলড্রেনস হসপিটালের ডাক্তার পল গ্রিনগ্রাস বলছেন, দামী স্মার্টফোন, ট্যাবলেটগুলির ডিসপ্লেতে উজ্জ্বল নীল-সবুজ আলো নির্গত হয়। ফলে ডিসপ্লেও খুব উজ্জ্বল হয়। সন্ধ্যার পর ডিসপ্লে-তে চোখ রাখলে ওই উজ্জ্বল আলো চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। বেশিক্ষণ তাকালে ঘুমের দফারফা। তাই স্মার্টফোনগুলির সেটিংসে ‘বেডটাইম মোড’-ও রাখা উচিত।

‘বেডটাইম মোড’ অ্যাক্টিভ থাকলে উজ্জ্বল নীল আলোকে ফিল্টার করে সন্ধের পর আলোর জোর নিজে থেকেই কমিয়ে দেবে। ডিসপ্লে ক্রমেই অন্ধকার হতে থাকবে। এমন একটি আলো নির্গত হবে, যাতে ঘুমে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। এবং ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনেরও ক্ষরণ হবে শরীরে। বডি ক্লককে স্লো করে দেবে।

শিশুদের ঘুমের বিশেষজ্ঞ পলের কথায়, ‘দিনে ব্যবহারের জন্য ওই উজ্জ্বল আলো খুবই ভালো। কিন্তু রাতে ততটাই খারাপ। ঘুমের ব্যাঘাত হলে শরীর ধীরে ধীরে বাসা বাঁধবে মারণ রোগ। এই ক্ষতি ঠেকাতে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই