শাটল ট্রেন কার? ছাত্রদের না বহিরাগতদের?

বিশ্বের মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যাদের নিজস্ব ট্রেন ব্যবস্থা আছে-একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি আর দ্বিতীয়টি হলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।কিছুদিন আগে সানফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শাটল ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেয়,তাই বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবে এর দাবিদার।

১৯৮১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিকট নিত্যসঙ্গী হিসেবে চির পরিচিতি পায় শাটল ট্রেন।শাটলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ইতিহাস রচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হৃদয়ের সাথে মিশে যাওয়া এই রঙ্গীন শাটল মাঝে মাঝে বিস্মৃতি বা দুঃসংবাদ এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছুকাল আগে শাটল পার করেছে ক্রান্তিকালের সবচেয়ে দুঃসময়। বগি ৯ টি থেকে কমিয়ে ৫ টি করা হয়েছিল, ট্রেনে যোগ করা হয়েছিল মালবাহী বগি।তীব্র গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড কষ্ট করে যাতায়াত করেছে। সাংস্কৃতিক বগিগুলো প্রচন্ড ভীড়ের কারণে অনেকটাই নিরব হয়ে পড়েছিল। এরুপ সংকটের মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য আশার বাণী নিয়ে আসেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেন।

11995541_899344346780409_1003664010_n

শাটল ট্রেনের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য ইদানিংকালে শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রসংগঠনগুলোও সোচ্চার।আলোচনায় এসেছে শাটলে “বহিরাগতদের ভ্রমন” প্রসংগটি। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিনিয়তই বহিরাগত লোকজন বিনাবাধায় শাটলে যাতায়াত করে এবং ভারী মালামাল পরিবহন করে, যা বেশ বিঘ্ন ঘটায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত চলাচলে। প্রায়ই দেখা যায় রাতের ৮;৪৫ এর ট্রেনে বহিরাগতদের ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অসহায়। মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনতাইসহ ছাত্রীদের বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়শই। সিটে বসা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে মাস্টার্স অথবা শেষ বর্ষের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের।

এমতাবস্থায় দুর্ভোগের এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়াটা এখন সময়ের দাবী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধি করলেই উল্লেখ্য সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।



মন্তব্য চালু নেই