শাকিলার জামিন স্থগিতের মেয়াদ আবারো বাড়লো

জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে করা দুটি মামলায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। পরপর তিনবার আপিল বিভাগ এ সময় বৃদ্ধি করেন। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত শাকিলা ফারজানার জামিন আবেদনের শুনানী স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।

এর আগে এ দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ পর পর ২ বার স্থগিত করেন আদালত। আজকে তিনবারের মতো তার জামিন স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলো। এর আগে গত ২৭ মার্চ তার জামিন স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিলাকে দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের আগ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি পাঠিয়ে দেন।

সোমবার এ আবেদনের শুনানি শেষে ২০ মার্চ পর্যন্ত হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। আর এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলেন আপিল বিভাগ।

জঙ্গি সংগঠন হামজা ব্রিগেডকে কোটি টাকা অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন ব্যারিস্টার শাকিলা।

হামজা ব্রিগেড নামে একটি জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র কেনার জন্য এক কোটি ৮ লাখ টাকা যোগানোর অভিযোগে গত বছরের ১৮ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও জজকোর্টের আইনজীবী মাহফুজ চৌধুরী বাপনসহ চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

পরে বাঁশখালী ও হাটহাজারীতে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সন্ত্রাস দমন আইনে হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানায় করা মামলায় আইনজীবী লিটন ও বাপন গত বছরের ডিসেম্বরে জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু দুই মামলায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর শাকিলা জামিন না পাওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।

এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৩ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে ওই দুই মামলায় শাকিলা ফারজানাকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুলের শুনানি শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার জামিন পান ব্যারিস্টার শাকিলা।



মন্তব্য চালু নেই