হরতাল ও অবরোধ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক : বেনজীর

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মহান মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবেন কিনা এবং এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের নিয়ম রয়েছে।
প্রথমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারপরে যেকোনো সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজনৈতিক দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
তবে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন জানাতে গেলে অবশ্যই পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া যে কেউ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাইলে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেবে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার মহান মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সবশেষে তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাসহ আরো কয়েকজন এবারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাদেরকেও নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
হরতাল ও অবরোধ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক : বেনজীর
বেনজিরবর্তমানে হরতাল ও অবরোধ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার একুশে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান উপলক্ষে শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্ম টহলের মাধ্যমে র‌্যাব শহীদ মিনার এলাকা নজরদারির মধ্যে রেখেছে। এ ছাড়া র‌্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড শহীদ মিনার এলাকায় প্রয়োজনীয় স্যুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ২১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ৮ হাজার র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, শহীদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থানসহ আশপাশের এলাকায় জনসমাগম থাকবে। এ ছাড়াও ভিআইপি ও ভিভিআইপিরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে আসবেন। এ জন্য শহীদ মিনার এলাকায় যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না ঘটে তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা বা রুট এবং বহির্বেষ্টনী এলাকায় সন্দেহজনক সকল হোটেল, রেস্ট হাউজ, বস্তি ও অন্যান্য সন্দেহজনক স্থানে তল্লাশির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে র‌্যাব। এ ছাড়া শহীদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়গুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, ব্যাগ ও পুস্পস্তবক ইত্যাদি তল্লাশি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখা হবে। আগত নারীদের র‌্যাবের নারী সদস্যরা তল্লাশি করবেন।
র‌্যাবের ডিজি বলেন, শহীদ মিনারের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য র‌্যাবের বম্ব স্কোয়াড ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। স্পর্শকাতর স্থানগুলো সিসি টিভির মাধ্যমে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সিসি টিভি মনিটরিং সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, র‌্যাব-৩-এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সেক্টরে অবজারভেশন ও চেকপোস্টসহ বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে র‌্যাব সদস্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তিন স্তরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদিন যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ছদ্মবেশে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হবে।



মন্তব্য চালু নেই