শরীর পুড়ে গেলে যা করবেন

পোড়া ও ঝলসানো আমাদের জীবনে একটি সাধারণ দুর্ঘটনা। সামান্য অসর্তকতার কারণে শিশু এবং বড়রা এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকে। সাধারণত রান্নার চুলা, গরম পানি, গরম ছাই, ইস্ত্রি, গরম করার যন্ত্রপাতির ইত্যাদি মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার হয়ে থাকে।

বিভিন্ন কারণে পুড়তে পারে:

# আগুনে পোড়া
# উত্তপ্ত বাষ্প বা ফুটন্ত তরলে পোড়া
# ইলেক্ট্রিক বা বৈদ্যুতিক প্রবাহে পোড়া – শুষ্ক উত্তপ্ত বস্তু (ইস্ত্রি)
# কড়া রাসায়নিক দ্রব্য – এসিড বা ক্ষার
# রান্নার পরে গরম ছাই, তুষ ইত্যাদি
# বিকিরণজনিত দগ্ধতা – অতিরিক্ত সূর্যরশ্মিতে দীর্ঘক্ষণ বা বিকিরণ যন্ত্রের বিকিরণের জন্য হয়ে থাকে

প্রাথমিক চিকিৎসা :

# রোগীকে তার পোড়ার উত্স বা আগুন থেকে সরাতে হবে।
# পোড়া স্থানের আঁটসাট কাপড়, আংটি থাকলে খুলে ফেলতে হবে।

# স্বল্পমাত্রার পোড়ার ক্ষেত্রে পোড়ার অংশটিকে ঠাণ্ডা পানিতে কিছুক্ষণের জন্য ডুবিয়ে রাখতে হবে৷ (ঠাণ্ডা পানি ক্ষত বৃদ্ধি ও তার গভীরতা প্রতিহত করে অঙ্গটিকে বাতাসের সংস্পর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে) শরীরের যে সকল অংশ পানিতে ডুবানো সম্ভবপর নয় সে সব অংশের জন্য বরফ শীতল পট্টি বা বরফ জড়ানো কাপড় দিয়ে আবৃত করে ফেলতে হবে কিছুক্ষনের জন্য। পোড়া অংশ কোনক্রমেই ডলাডলি করা যাবে না এবং ফোসকা ফাটানো বা তুলে ফেলা যাবে না।

# স্বল্প মাত্রার পোড়া হলে পোড়ার স্থলে মলম হালকা করে লাগানো যেতে পারে। আর ক্ষত বড় হলে পানি থেকে ওঠানোর পর মলম লাগিয়ে পরিষ্কার প্যাড বা কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে হবে যেন পোড়া অংশটি বায়ুর সংস্পর্শে আসতে না পারে।

#ফোসকা থাকলে সাবধানে ব্যান্ডেজ করা উচিত যেন ফোসকাগুলি গলে না যায়।
# রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানো ভালো।
# হালকা পোড়া, মাথা ও মুখে পোড়ার ক্ষেত্রে ক্ষতস্থান খোলা রাখতে হবে।

পরামর্শ:

# প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে হবে৷
# পোড়া জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে৷
# ধুলো, মাছি এবং ময়লা যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷

সতর্কতা:

#অনেকে পোড়া ক্ষতে ডিম, পুরাতন ঘি, মাখন, বিশেষ ধরনের কবিরাজি তেল ব্যবহার করে থাকেন। এগুলি ব্যবহার ভীষণভাবে ক্ষতিকর। বহুক্ষেত্রে জীবননাশের আশংকা বহন করে থাকে।

#ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।



মন্তব্য চালু নেই