শরণার্থী ইস্যুতে খড়গহস্ত জার্মানি ও ফিনল্যান্ড

এবার শরণার্থীদের ওপর খড়গহস্ত হচ্ছে জার্মানি ও ফিনল্যান্ড। শরণার্থীদের ঢল প্রতিরোধে আইন কঠোর করছে জার্মানি। আর ফিনল্যান্ড চাইছে সেখানে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দুই তৃতীয়াংশকেই দেশে ফেরত পাঠাতে। সুইডেনে ৮০ হাজার শরণার্থীকে বিতাড়নের ঘোষণার একদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার দেশ দুটির পক্ষে এ ঘোষণা এলো।

জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল জানিয়েছেন, আলজেরিয়া, মরক্কো ও তিউনিসিয়াকে ‘নিরাপদ উৎস দেশের’ তালিকায় স্থান দিয়েছে। এর মানে হচ্ছে এখন থেকে এসব দেশ থেকে কাউকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হবে না। যাদেরকে সীমিত শরণার্থী নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে আগামী দুই বছর জার্মানিতে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। এ ছাড়া যেসব শরণার্থী দ্রুত আশ্রয় আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।

গত বছর জার্মানি প্রায় ১১ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এদের অধিকাংশই যুদ্ধবিদ্ধস্ত সিরিয়া থেকে আসা। সম্প্রতি শরণার্থী ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের মুখে রয়েছে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। আগামী মার্চে জার্মানির তিনটি রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামী বছর দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। আসন্ন এ দুটি নির্বাচনে ভোটারদের মন রক্ষা করতেই মের্কেলের রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস দল শরণার্থী ইস্যুতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া ৩২ হাজার শরণার্থীদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশকেই ফেরত পাঠাতে চাইছে দেশটি। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক পাইভি নের্গ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই তৃতীয়াংশের কথা নীতিগতভাবে বলেছি। এর মানে হচ্ছে ৩২ হাজার শরণার্থীর দুই তৃতীয়াংশ নেতিবাচক জবাব পেতে যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার সুইডেন জানিয়েছে, তারা ৮০ হাজার শরণার্থীকে জোর করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে।



মন্তব্য চালু নেই