শরণার্থীদের পুশব্যাক করা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার বদলে পুশব্যাক করে আন্তর্জাতিক আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান নিয়ে সোমবার সকালেই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যেখানে রাখাইন প্রদেশে সৈন্যদের হত্যাকাণ্ড, বহু ধর্ষণ, পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেবার মত ঘটনা মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়, গত দু’মাসে নিরাপত্তার সন্ধানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
এদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা না গেলেও জাতিসংঘের হিসেবে এদের সংখ্যা ২৭ হাজার। শরণার্থীর ঢল ঠেকাতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা সীমান্ত দিয়ে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পুরনো নীতি জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে বহু আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাকে তারা আবার মিয়ানমারের দিকে ঠেলে দিয়েছে অর্থাৎ পুশব্যাক করেছে কিংবা আটক করেছে। এটা আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতির ব্যত্যয় ঘটায় উল্লেখ করে একে বেআইনি বলে অভিহিত করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সংস্থাটি আরও বলছে, বাংলাদেশে আটক কিংবা পুশব্যাক হবার ঝুঁকি থাকায় বহু রোহিঙ্গা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জঙ্গলে, গ্রামে কিংবা বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে গিয়ে আত্মগোপন করছে। এর ফলে দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষে তাদের কাছে সাহায্য নিয়ে পৌঁছানোর সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে এবং শরণার্থীদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ছে। সর্বশেষ, গত শনিবারও নাফ নদী পার হওয়া দুই শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী ১৯টি নৌকা ফিরিয়ে দেবার ঘটনা স্বীকার করে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি। এর কারণ হিসেবে বিজিবির একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরেই এটা তাদের করতে হচ্ছে।-বিবিসি বাংলা



মন্তব্য চালু নেই