শরণার্থীদের আটকের হুমকি হাঙ্গেরির

আগামী সপ্তাহ থেকে হাঙ্গেরি সীমান্তে প্রবেশ করলেই শরণার্থীদের আটকের হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। একই সঙ্গে তিনি অবৈধ শরণার্থীদের হাঙ্গেরির আইনের ‘বিরুদ্ধাচারী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। শুক্রবার তিনি এ মন্তব্য করেন।

এদিকে হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্তে নির্মিত শিবিরে অবস্থানরত শরণার্থীদের মানবিক পরিস্থিতি ভয়ংকর বলে জানিয়েছেন ত্রাণ সহায়তাকর্মীরা। সীমান্তবর্তী রসজেক গ্রামটিতে ক্ষুধার্ত শরণার্থীদের উদ্দেশে খাবারের ব্যাগ ছুড়ে দিতে দেখা গেছে পুলিশকে।

সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে এসব দেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে। গত বছরে ইউরোপে শরণার্থীদের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এদের মধ্যে কেবল হাঙ্গেরিতেই রয়েছে প্রায় দেড় লাখ শরণার্থী। এদের অনেকেই হাঙ্গেরি থেকে অস্ট্রিয়া হয়ে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এখনো অনেক শরণার্থী গ্রিস হয়ে সার্বিয়া সীমান্ত দিয়ে হাঙ্গেরিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে শরণার্থী ঠেকাতে হাঙ্গেরি সীমান্তে ১৭৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান রাজধানী বুদাপেস্টে অবস্থানরত মুসলমান শরণার্থীদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘তারা রেলওয়ে স্টেশন দখল করে রেখেছে, আঙুলের ছাপ দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং যেখানে গেলে তাদের খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা মিলবে, সেখানে তারা যেতে চাইছে না। তারা হাঙ্গেরির বৈধ আদেশের বিরুদ্ধাচরণকারী।

অরবান বলেন, ‘আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধভাবে সীমান্তে প্রবেশকারীদের হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষ ক্ষমা করবে না।’

এদিকে হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্তের রসজেক গ্রামের শরণার্থীশিবিরে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। অস্ট্রিয়ার গ্রিন পার্টির এক নেতার স্ত্রী মিখায়েলা স্প্রিটজেদরফার ওই শিবিরটিতে ত্রাণসহায়তা দিচ্ছেন। শুক্রবার তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যাতে দেখা গেছে পুলিশ প্রায় ১০০ শরণার্থীকে দূর থেকে খাবারের প্যাকেট ছুড়ে দিচ্ছে। স্প্রিটজেদরফার অভিযোগ করে বলেন, ‘এসব শরণার্থীদের অনেকে নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়েছে এবং জঙ্গল ও ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তার এসেছে। আমরা ইউরোপীয়রা তাদেরকে পশুর মতো শিবিরে রেখেছি।’



মন্তব্য চালু নেই