শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগকৃত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন মির্জা হোসেইন হায়দার, মো. নিজামুল হক নাসিম ও মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

সোমবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি এ তিনজনকে নিয়োগ দেন। এরপর আইন মন্ত্রণালয় রোববার গেজেট জারি করে।

বর্তমানে আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি আছেন। এই তিন বিচারপতি নিয়োগের ফলে মোট নয়জন বিচারপতি পেল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার : ১৯৫৪ সালের ১ মার্চ জন্ম নেওয়া মির্জা হোসেন হায়দার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০০১ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত এবং ২০০৩ সালের ৩ জুলাই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম : তিনি ১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। নিজামুল হক নাসিম বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন নিজামুল হক নাসিম।

২০০১ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরপর ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর এক বছর পর তাকে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে স্কাইপিতে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসেন।

বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান : ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল বজলুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০০১ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ২০০৯ সালের ১০ মে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ বজলুর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই