শত্রুকে বোকা বানাতেই সবচেয়ে চতুর প্রাণী কাঠবিড়ালি!

সৃষ্টি বড়ই অদ্ভূত। পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনও ধারণাই আমাদের নেই। বেশি দূরে যেতে হবে না। ‘ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’ই যে কত সৃষ্টি, কত ঘটনা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তা-ই অনেক সময় আমাদের গোচরে আসে না।

এই ধরনের অজানা-অচেনার খোঁজে আমাদের যাত্রা চলেছে। এই সফরে প্রতি রবিবার আমরা ধারাবাহিক ভাবে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরি, যা শুনে তাজ্জব হতে হয়। এই পর্বে থাকল কাঠবিড়ালি সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য।

১) বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৬৫ প্রজাতির কাঠবিড়ালি দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট আকারের কাঠবিড়ালিটি দেখতে পাওয়া যায় আফ্রিকায়। আফ্রিকান পিগমি স্কুইরেল নামের এই কাঠবিড়ালির শরীর মাত্র ১০ সেন্টিমিটার লম্বা। অন্যদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম কাঠবিড়ালি প্রজাতি দেখা যায় ভারতে। ইন্ডিয়ান জায়ান্ট স্কুইরেলের দেহ ৩ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা গেছে।

২) ভাঁড়ার ভর্তি করতে খাদ্য সংগ্রহ কাঠবিড়ালিদের অভ্যাস। বাদাম, গাছের বীজ, অত্যাদি খাদ্যবস্তু জোগাড় করে তা লুকিয়ে রাখার বাতিক রয়েছে তাদের। মজার কথা, অনেক সময় লুকানো খাদ্যভাণ্ডারের হদিশ মনে রাখতে পারে না কাঠবিড়ালি নিজেই। তার লুকিয়ে রাখা বীজ থেকে পরবর্তীকালে জন্ম নেয় অসংখ্য গাছ। এই ভাবে নিজের অজান্তে পৃথিবীকে সবুজে মুড়ে দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে ছোট্ট প্রাণীটি।

৩) অন্যান্য প্রাণীদের মতোই মাতৃত্ব কাঠবিড়ালিদের সহজাত। কিন্তু এই ব্যাপারে অন্যদের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছে সে। শিশুর জন্মের পর কোনও কাঠবিড়ালি মা মারা গেলে, অন্যের ছানাকে কোলে তুলে নেয় প্রতিবেশী কাঠবিড়ালি। তার স্নেহেই পালিত হয় মা-হারা শিশুটি।

৪) কাঠবিড়ালিদের তাড়া করে ধরা সহজ নয়। একে তো তাদের তীব্র গতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন, তায় শত্রুকে বোকা বানাতে ঘন ঘন দৌড়ের দিক পরিবর্তন করতে থাকে কাঠবিড়ালিরা। একাধিক দিকে ছোটাছুটি করার ফাঁকে অনুসরণকারীর নজর এড়িয়ে পালানোর পথ বের করে ফেলে চতুর প্রাণীটি।

৫) কাঠবিড়ালিরা পরস্পরের সঙ্গে কথা ও ভাব বিনিময়ে সিদ্ধহস্ত। গলা থেকে নানান শব্দ বের করে তারা একে অন্যের মনের ভাব বুঝতে পারে। শুধু তাই নয়, লেজ নাড়িয়ে তারা সঙ্গীকে দিক নির্দেশ দেয়। বিপদের আঁচ পেলেও ঘন ঘন লেজ ঝাঁকিয়ে সঙ্গীদের জানান দেয় অত্যন্ত বুদ্ধিমান কাঠবিড়ালিরা।

সূত্র: এই সময়



মন্তব্য চালু নেই