শচীনের ঘরের মাঠ ছিল বাংলাদেশও!

‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ নামে খ্যাতি পাওয়া ভারতীয় গ্রেট ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার বাংলাদেশকে ঘরের মাঠের সমতুল্য ভাবতেন। আর তার সেই ভাবনার পেছনে কারণ ছিল এদেশের ভক্তদের ভালবাসা। হ্যাঁ, বাংলাদেশে তার ভক্তের সংখ্যা নেহায়াত কম নয়। ক্রিকেটকে যারা ভালবাসে মনে-প্রাণে তারা ব্যাট হাতে সুর আর ছন্দ ছড়ানো ব্যাটিং মায়েস্ত্রোকে ভালবাসবে নাইবা কেন? আর সেই ভক্তদের কথাই উঠে এসেছে শচীনের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়েতে’। সেখানে তিনি উল্ল্যেখ করেছেন বাংলাদেশে খেলার অনুভূতির কথা। ভক্তদের জন্য এদেশের মাটিকে তার নিজের বাড়ির মতোই আপন মনে হতো তার।

বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় গ্রেটের সাফল্যও কম নয়। শততম সেঞ্চুরিটাও পেয়েছেন এখানেই। সেদিন মাশরাফিসহ অনেকেই তাকে অভিনন্দনও জানিয়ে ছিলেন। সেকারণেই কিনা বাংলাদেশে খেলার স্মৃতিটা তার আত্মজীবনীতে এভাবেই রোমন্থন করলেন তিনি, ‘ভারতের মতো বাংলাদেশও আমার কাছে ছিল একরকম ঘরের মাঠ। ওখানে আমি কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়ছি। আমাকে ওরা খুব ভালবাসে৷’ এমনও নাকি শোনা যায়, ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ হলে সেখানকার দর্শকরা চাইতেন, ‘শচীন সেঞ্চুরি করুক কিন্তু বাংলাদেশ জিতুক!’ ২০১২ এশিয়া কাপে শচীনের শততম সেঞ্চুরির ম্যাচে জিতেও ছিল বাংলাদেশ। তাহলে শচীন ভক্ত বাংলাদেশিদের সেই প্রার্থণাই কী শোনে ছিলেন ক্রিকেট বিধাতা!

২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল ভারত। আগের বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলতে জয় দিয়েই সেই ম্যাচ শুরু করতে চেয়েছিল সফরকারীরা। ১৯ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচ নিয়ে শচীন লিখেছেন, ‘২০০৭ ক্যারিবীয় বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জানতাম, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তা ছাড়া মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের কান ফাটানো দর্শক সমর্থনও বাংলাদেশের পক্ষেই থাকবে।’

এরপর এদেশের দর্শক প্রসঙ্গে শচীন যা লিখেছেন তা হলো, ‘বাংলাদেশে যাওয়ার পর প্রথমেই যেটা দৃষ্টি কারে, বিশ্বকাপ নিয়ে সাধারণ মানুষের উত্তেজনা। অনুশীলন করতে গেলেও দেখা যেত খেলোয়াড়দের এক পলক দেখার জন্য মাঠের বাইরে অন্তত ৩০ হাজার দর্শক জমে গিয়েছে!’

‘অসংখ্য দর্শক টিকিট না পেয়েও বাইরে দাঁড়িয়ে নেচে-গেয়ে সময়টা উপভোগ করেছে। ঢাকার দর্শকদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা সেবার ক্রিকেট উন্মাদনাকে অন্য রকম উচ্চতা দিয়েছিল।’



মন্তব্য চালু নেই